ফেল করা সন্তানদের ভর্তি করাতে ইবি কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৮:০২ PM , আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৪৩ PM
পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো নম্বর নয়, ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেই এমনকি ফেল করলেও পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগের দাবিতে আন্দোলন করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। আজ রবি বার পঞ্চম দিনের মতো সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা পাঁচ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত এবং আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার আন্দোলনরতদের প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হতে দেখা গেলেও আজ তাদেরকে দেখা যায়নি।
এর আগে গতকাল শনিবার কর্মকর্তারা কর্মবিরতির নামে হয়রানি করছে বলে অভিযোগে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির নামে হয়রানি বন্ধ এবং পোষ্য কোটায় নির্ধারিত নম্বরে ভর্তির দাবি সহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ইবিতে পোষ্য কোটায় ভর্তির শর্ত শিথিলের দাবিতে ২৬ জুলাই থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মকর্তারা। রোববার পঞ্চম দিনের মতো পাঁচ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
এর আগে শনিবার তারা প্রধান ফটক আটকে শিক্ষকদের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহগামী বাস আটকে রাখেন। তাদের দাবি— ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ নম্বর পেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে, পোষ্য কোটার ক্ষেত্রেও একই শর্ত রাখা হয়েছে। এখানে কোটাধারীদের কোনো সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।
তথ্যমতে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ন্যুনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এতে পরীক্ষায় ন্যুনতম পাশ নম্বর (৩০) প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধি, নৃ-গোষ্ঠী, উপ-জাতি, হরিজন দলিত জনগোষ্ঠী, খেলোয়াড় এবং পোষ্য কোটার শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় শর্তপূরণ সাপেক্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। যার ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ পোষ্য কোটা থাকা সত্ত্বেও শর্তপূরণ না করতে পারায় তাদের সন্তানরা বিশেষ সুবিধায় ভর্তি হতে পারছেন না।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলতেই থাকবে। প্রশাসন থেকে কোনো আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।