ইবির সাদ্দাম হোসেন হল
বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট সুবিধা অকেজো, পানির অভাবে ভোগান্তি অর্ধেক শিক্ষার্থীর
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৩, ১২:২৭ PM , আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩, ১২:৪০ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিদ্যুৎ সচল থাকলেও তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই সাদ্দাম হোসেন হলের একাংশে। একইসঙ্গে হলের উত্তর ব্লকে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। দিনের বেশিরভাগ সময় পানির অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। হল অফিসে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের। হলে এন অব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে লোডশেডিং এড়াতে এবং ইমার্জেন্সি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ইনডোর এবং আউটডোর মিলিয়ে পাঁচটি সাবস্টেশন রয়েছে। ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জেনারেটর সেবা চালু থাকলেও লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আবাসিক হলটির অর্ধেক শিক্ষার্থীর।
গত কয়েকমাস ধরে উত্তর ব্লকের সার্কিটের সুইচ পড়ে যাচ্ছিল। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা আগে অবগত করলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি হল কর্তৃপক্ষ। ফলে গত ১৪ জুলাই সার্কিটের সুইচ অকেজো হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে উত্তর ব্লকের চতুর্থ তলার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাঈম শেখ বলেন, লোডশেডিংয়ে অনেক কষ্টে আছি। আর ইন্টারনেট না থাকায় যোগাযোগ এবং পড়াশোনা বিঘ্ন হচ্ছে। এদিকে হলের কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও দ্রুত সময়ে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় না। তাছাড়া একের পর এক সমস্যার যেন অন্ত নেই শতাধিক শিক্ষার্থীর আবাসিক হলে।
উত্তর ব্লকের আবাসিক শিক্ষার্থী আবুল বাশার বলেন, হলের প্রভোস্টকে জানিয়েছি। এ পর্যন্ত একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও কোনও পদক্ষেপ নেননি। তাছাড়া হলে পানির সমস্যা বেড়েই চলেছে। একপাশের ট্যাংক ভর্তি হয়ে পানি অনবরত পড়তে থাকলেও অপর পাশের পানি আসে না। এভাবে ওয়াশরুমে ও বেসিনগুলোয় সারাদিন পানি না পাওয়ায় গোসল, জরুরি কাজ বা কিছুই না করতে পেরে আটকে থাকতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবাসিক হলটির সব রুমে নেই জেনারেটরের সংযোগ। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে সময় কাটাতে হয় তাদের। এতে ব্যহত হয় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। হলের ১০২ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রুমান ইসলাম বলেন, রাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও জেনারেটর চালু থাকে। কিন্তু আমাদের রুমে জেনারেটর সংযোগ না থাকায় অন্ধকারে থাকতে হয়। পরীক্ষা থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। দিনের আলোই শুধু ভরসা।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, অনেক পুরোতন হল হওয়ায় এর বৈদ্যুতিক লাইনগুলো দুর্বল। আর সার্কিটটির সমস্যার বিষয়ে আমি শুনেছি। শিগগিরিই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর পানি সংকটের বিষয়েও পদক্ষেপ নেব।