প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ কুবির সেই ছাত্রলীগ নেত্রীর
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৩, ১১:৩২ PM , আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩, ১১:৩২ PM
এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো: সাহেদুর রহমানের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগ এনে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী ফাইজা মেহজাবিন। সোমবার হেনস্তার বিচার চেয়ে উপাচার্য বরাবর অভিযোগ জানান তিনি
অভিযোগ পত্রে তিনি বলেন, বিগত তিন মাসে তিনি (প্রাধ্যক্ষ) নানা ভাবে আমাকে হেনস্তা করেছেন। কখনো তিনি বিনা অনুমতিতে ঠুনকো অজুহাতে আমার কক্ষে প্রবেশ করে আমাকে বিব্রত করেছেন, কখনো পূর্ব নোটিশ ব্যতীত কক্ষের ব্যক্তিগত লকার চেক করেছেন। একজন পুরুষ শিক্ষকের হুটহাট আমার কক্ষে প্রবেশের বিষয়টি আমাকে প্রায় সময় বিব্রত করে। এসব ঘটনাকে আমি ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করি। এছাড়া অন্যান্য নারী শিক্ষার্থীদের কক্ষেও তিনি প্রায়ই অবাধে প্রবেশ করেন।
এসকল বিষয় এবং হলের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রাধ্যক্ষ স্যার আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় অশালীন মন্তব্য এবং অপমানজনক আচরণ করেছেন। তাঁর এহেন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় তিনি আমার ওপর প্রায়ই ক্ষোভ ঝাড়তেন।
আমি সামাজিক এবং পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্নের শিকার ও অপমানিত হচ্ছি এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি।
আারো পড়ুন: কুবিতে হল ছাত্রলীগ সভাপতি-প্রাধ্যক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
এদিকে অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন দাবি করে হল প্রাধ্যক্ষ সাহেদুর রহমান বলেন, সত্য ঘটনাকে ঢাকার জন্য আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমি মেয়েদের কক্ষে যাওয়ার আগে কোনো মহিলা আবাসিক শিক্ষক বা আমাদের হলের একজন মহিলা কর্মচারী আছে তাকে অনুমতির জন্য পাঠাই। তারা অনুমতি নিয়ে আসলে তারপর আমি কক্ষে যাই। বিভিন্ন কক্ষের নষ্ট লকার ঠিক করতে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো ঠিক করা হয়েছে কিনা তা চেক করার জন্য আমি লকার দেখেছি।
তবে ফাইজা বলেন, উনি যে রুমে ঢুকে মেয়েদের হেনস্তা করেন এটা অনেকে মেয়েই জানে। আমাকে হেনস্তা করেছে আমি এর বিচার চাই।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য অতি শীঘ্রই তদন্ত কমিটি গঠন করবো এবং ওই তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।
এর আগে গত শনিবার সিট বরাদ্দকে কেন্দ্র করে হল প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমানকে শাসানোর অভিযোগ উঠেছিল ফাইজা মেহজাবিনের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফাইজা দাবি করেন, প্রাধ্যক্ষকে তিনি শাসাননি। পূর্ব ক্ষোভের কারণে প্রাধ্যক্ষ তার বিষয়ে গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।