শাস্তির নজির স্থাপন করতে পারলে র‌্যাগিংয়ের মতো ঘটনা কমবে: আরেফিন সিদ্দিক

অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফলপরী খাতুন নামে নবীন এক শাখা ছাত্রলীগের নেত্রীদের হাতে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফুলপরী নামের ওই ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। এমনকি এক পর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার (১ মার্চ) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্টকে অপসারনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলেই।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। সব শিক্ষার্থীকে সমানভাবে দেখতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে শৃঙ্খলা মেনে চলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থী যে দলের-মতেরই হোক অপরাধে জড়ালে তাকে শাস্তি দিতে হবে। হল থেকে বহিষ্কার, ছাত্রত্ব বাতিল—এই ধরনের শাস্তিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রশাসনিক ক্ষমতায় দিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় যখন সকল শিক্ষার্থীকে যখন সমানভাবে দেখবে এবং সকল আপরাধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে তখন এধরনের ঘটনা কমে আসবে।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং বন্ধে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে: হাইকোর্ট

এসময় শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্তর থেকে মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছেন অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজ পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। এই সময়ের মধ্যে তার মন-মানসিকতা তৈরি হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তার মন মানসিকতা পরিবর্তনের খুব বেশি সুযোগ থাকে না।

‘‘আমাদের উচিত প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে শুধুমাত্র একাডেমিক ক্ষেত্রে গুরুত্ব না দিয়ে সে কতটা ভালো মানুষ হয়ে উঠলো, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া। একজন শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র জিপিএ দিয়ে বিবেচনা না করে সে সত্যি বলছে কিনা, তার মধ্যে মানবিক গুণাবলি তৈরি হয়েছে কিনা এ বিষয়গুলো বিবেচনরা করা।”

প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফুলপরী নামেও ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন শিক্ষককে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে মঙ্গলবার ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।


সর্বশেষ সংবাদ