বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়ার চাপে অবসাদে ভুগছেন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ০৫:৩৭ PM , আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৩৫ PM
করোনা–পরবর্তী পড়াশোনার চাপ, হতাশা ও সেশনজট শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। শিক্ষা কার্যক্রমের চাপে অবসাদে ভুগছেন প্রায় ৭৬ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন ৪০৪ জন শিক্ষার্থী। এর আগে করোনার সময় ২০২০ সালের মার্চ থেকে ১৫ মাসে আত্মহত্যা করেছিলেন ১৫১ জন শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন।
আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপে উঠে এসেছে, করোনা–পরবর্তী বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত পড়াশোনা এবং কম সময়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠ্যক্রম শেষ করার জন্য এক ধরনের চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এটা ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ৪০৪ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, সংখ্যায় বেশি মেয়েরা
শিক্ষাজীবন গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। একই সঙ্গে একাডেমিক পরীক্ষাগুলোর মধ্যবর্তী সময় এবং মানসিক চাপ কাটিয়ে ওঠার সুযোগ কম থাকায় ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন রকম মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্যদিকে দীর্ঘ বিরতির পর শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আসায় ৭৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস আশঙ্কাজনক হারে কমে এসেছে। শিক্ষাজীবনে বাধা সৃষ্টির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পড়াশোনা এবং সিলেবাস দ্রুত শেষ করার চাপে প্রায় ৬৭ শতাংশের জীবন প্রভাবিত হয়েছে বলেও জরিপে উঠে আসে।
জরিপে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছেন, তাঁরা বিভিন্ন মেয়াদে সেশনজটের শিকার হয়েছেন। প্রায় ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তাঁরা ন্যূনতম এক বছর সেশনজটের শিকার হয়েছেন।
এ ছাড়া ডিজিটাল ডিভাইস যেমন মুঠোফোন, ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের ওপর অতিরিক্ত আসক্তি ও নির্ভরতা শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মত দিয়েছেন ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী। অনেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। অভিভাবকদের অতিরিক্ত চাপও তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলেছে। পরীক্ষার ফল ভালো না হওয়ার ভয়ে থাকেন তাঁরা। আর প্রায় ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছেন, ভবিষ্যৎ পেশাজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং অনিশ্চয়তার কারণে মানসিক চাপে আছেন।
প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেন, তাঁরা নিজেদের মানসিক সমস্যাগুলো শেয়ার করার মতো শিক্ষক পান না। পড়াশোনার জন্য তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিবেশ সহায়ক নয়। তাই তাঁরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষক এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল ওহাব।