বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস!

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নেওয়া বিসিএসের ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সবশেষ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়েছে বলে জানা গেছে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল-২৪ এর এক প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।

চ্যানেল-২৪ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবশেষ গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়। ৩৩তম বিসিএস থেকে ৪৬তম বিসিএস পর্যন্ত প্রায় ৩০টি ক্যাডার-ননক্যাডাার পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত পিএসসির বড় কর্মকর্তারা।

বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন চ্যানেল-২৪ এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আব্দুল্লাহ আল ইমরান। নিচে তার স্ট্যাটাসের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-

‘শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন-বিপিএসসির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেয়েছি আমরা। গেল শুক্রবার অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত খোদ পিএসসির কর্মকর্তারাই!

দীর্ঘ অনুসন্ধানে বিপিএসসিকেন্দ্রীক এই চক্রটিকে চিহ্নিত করেছি আমরা, যারা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিসিএসের প্রিলি, রিটেন, ভাইভাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সকল সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। সর্বশেষ ৪৬তম বিসিএসও বাদ যায়নি এদের খপ্পড় থেকে।

এই অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে শিউরে ওঠার মতোই, কেননা সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির মুখের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে লাখ লাখ বেকার তরুণ-তরুণী। 

জীবনের শুরুর ৩০ বছরের প্রায় সকল সুখ আর চাওয়া-পাওয়া বিসর্জণ দিয়ে বিসিএস ধ্যান-জ্ঞান করে, নিদেন পক্ষে পিএসসির একটি নন-ক্যাডার প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরির আশায় যারা দিন গুণেন , লাইব্রেরীতে পড়ে থাকেন দিনের পর দিন, তাদের জন্য এ খবর রীতিমতো বজ্রাঘাত! রাষ্ট্রের তরফে প্রহসন। 

বিসিএস এবং পিএসসি নন-ক্যাডার চাকরির প্রশ্নপত্র ফাঁসের সর্ববৃহৎ এই চক্রের কার্যক্রম এবং তাদের বিস্তারিত জানতে আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে আগামী পর্বের সার্চলাইটের জন্য। তবে একাধিক পর্ব হয়তো লেগে যাবে পুরো গল্পটি তুলে ধরতে।

শেষ মুহুর্তে রিপোর্টটির জন্য সহকর্মীদের পাঠিয়ে পিএসসি চেয়ারম্যানের একটা ইন্টারভিউ করেছি আমি। ইন্টারভিউ শেষে তিনি আমাকে কল করেন এবং প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন। এত অসহায় লাগল তার কন্ঠ! মনটা কিছুটা খারাপই হলো। 

কিন্তু রাষ্ট্রের কাজে দক্ষ কর্মী খুঁজে বের করার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হয়ে এভাবে একের পর এক প্রশ্নফাঁসের ঘটনার দায় তিনি আর তার বোর্ডের সদস্যরা কীভাবে এড়াবেন? একটি দুটি তো নয়, ৩৩তম বিসিএস থেকে প্রায় ৩০টি ক্যাডার-ননক্যাডাার পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেয়েছি আমরা।


সর্বশেষ সংবাদ