করোনা-কালে ফার্মাসিস্টদের অবসর নেই— ডিআইইউ’র ওয়েবিনারে বক্তারা
- ডিআইইউ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২০, ০৬:২২ PM , আপডেট: ৩০ জুন ২০২০, ০৬:২২ PM
করোনাকালীন দুর্যোগে মৃত্যুর মিছিলকে ভয় না করে দেশের মানুষের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন ফার্মাসিস্টরা। মহামারীর এ সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ছুটির কোনো অবসর নেই ফার্মাসিস্টদের। তারা তাদের নিপুণ দক্ষতায় আমাদের সকলের জন্য ওষুধ সরবরাহ করে যাচ্ছেন। দেশের ওষুধ শিল্পে স্বয়ংসম্পন্ন এবং ক্রমবর্ধমান এ শিল্পের মূল চালিকা শক্তি ফার্মাসিস্টদের হাতে। সোমবার (২৯ জুন) ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) ‘রেসপনসেবলিটিস অব ফার্মাসিস্ট ডিউরিং দা প্যানাডেমিক ক্রাইসিস অব কোভিড-১৯’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদা বেগম, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী বিভাগের প্রভাষক নিলয় ভৌমিক এবং ঢাকা ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্র ও ফার্মাকো কোম্পানির সিইও নাসিম আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার এবং সহযোগী অধ্যাপক মোঃ শাহ আলম চৌধুরী অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন।
ওয়েবিনারে অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমানে ফার্মাসিস্টরা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়। তবে তারা আরও ভালো কাজ করতে পারতো যদি এই দুর্যোগের সময়ে সরকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হসপিটাল ও ক্লিনিকগুলোতে ফার্মাসিস্ট নিয়োগের ব্যবস্থা করতো। বর্তমান সময়ে ফার্মাসিস্টরা নিজেদের লাভের কথা না ভেবেই উল্টো ক্ষতি হলেও ওষুধ সরবরাহ করে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ফার্মেসি শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার এক বিশাল অবস্থানে রয়েছে এটি। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সঠিক শিক্ষা পদ্ধতি, উন্নত ল্যাবসহ বিভিন্ন ব্যবস্থায় ঘাটতি লক্ষ্যণীয় হলেও ঢাকা ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসি বিষয়ে পড়ায় রয়েছে উজ্জ্বল সম্ভাবনা।
অধ্যাপক ফরিদা বেগম বলেন, বর্তমানে এই মহামারি সংকটে সাহায্যে পিছিয়ে নেই ডিআইইউ এর ফার্মাসিস্টরা। এই করোনা মহামারীর লকডাউন এর মধ্যেও তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে তা বিনামূল্যে গরিবদের মাঝে দিয়েছে, তারা স্বল্প মূল্যে ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে। এছাড়া তারা বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পেইন করেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডাইবেটিস, প্রেসার, রক্ত পরীক্ষা, হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা সহ আরো বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যা সত্যি প্রশংসার দাবিদার এবং এ কাজ তাদের আরো দক্ষ করে তুলছে ।