এনএসইউতে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা-বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪১ PM , আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪২ PM
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ইতিহাস ও দর্শন (ডিএইচপি) বিভাগ ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হেলদি লিভিং’ শীর্ষক সেমিনারের মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনএসইউর কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আবদুর রব খান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার প্রাণজিৎ লাল শীল, সংগঠক, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন; ডা. মনিরুজ্জামান, সমন্বয়ক, কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাব; এবং এনএসইউ’র আইন বিভাগের অধ্যাপক ও মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ড. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ইতিহাস ও দর্শন বিভাগ, এনএসইউ।
অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের মাধ্যমে আমরা স্ট্রেসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এবং আমাদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে পারি। স্ট্রেসমুক্ত জীবন কোনো কল্পনা নয়, বরং সুস্থ অভ্যাস ও নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে অর্জনযোগ্য একটি লক্ষ্য।’
ইঞ্জিনিয়ার প্রাণজিৎ লাল শীল স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে ব্যবহৃত বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘স্ট্রেস আপনাকে গড়ে তুলতে পারে বা ভেঙে দিতে পারে—এটা সম্পূর্ণ আপনার নিজের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। স্ট্রেস থেকে পালিয়ে না গিয়ে, বরং তাকে মোকাবিলা করা উচিত। আপনি জয়ী হবেন, আর আমরা সবাই আপনার পাশে আছি।’
ড. মনিরুজ্জামান স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টি ও সুষম খাদ্যগ্রহণের গুরুত্ব নিয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এমনভাবে জীবনযাপন করা উচিত, যা বিজ্ঞানসম্মতভাবে একটি স্বাস্থ্যকর ও সক্রিয় জীবন নিশ্চিত করে। খাবার হতে পারে ওষুধ, আবার খাবার হতে পারে রোগের কারণ। এমনভাবে খাবার খেতে হবে যেন সেটা ওষুধ হিসেবে কাজ করে।’
অধ্যাপক আবদুর রব খান বলেন, ‘স্ট্রেস কোনো চরিত্রগত দুর্বলতা নয়; এটি চাপে সৃষ্ট এক মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া। আমরা স্ট্রেসকে যেভাবে সামলাই, সেটিই আমাদের জীবনের মান নির্ধারণ করে। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা মানসিক সুস্থতাকে কেবল একটি স্লোগান থেকে বাস্তবে রূপ দিতে পারি।’
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আজকের কর্মসূচি ছিল অত্যন্ত সহায়ক ও তথ্যবহুল। এই ধরনের আলোচনা শুধু বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে নয়, বরং নিয়মিতভাবে আয়োজন করা উচিত।’
উপস্থাপনার পর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে ইঞ্জিনিয়ার প্রাণজিৎ লাল শীল পরিচালিত একটি মেডিটেশন সেশনের মাধ্যমে।