পাথর মেরে হত্যার প্রতিবাদে ড্যাফোডিলে বিক্ষোভ

পাথর মেরে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী
পাথর মেরে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনের সড়কে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-১ হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেটে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে এবং পরবর্তীতে খাগানের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘চাঁদা লাগলে চাঁদা নে, আমার ভাইকে ফিরিয়ে দে’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘পাথর মেরে সোহাগ খুন, বিএনপি জবাব দে’,‘চাঁদা তুলে পল্টনে, ভাগ যায় লন্ডনে’, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি চলবে না’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, জুলাই বিপ্লবের এক বছর হয়ে যাচ্ছে, তবুও দেশের আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন হচ্ছে না। এভাবে সরাসরি একটি হত্যা হয়, তাতে বিচার নিয়ে কোনো কথা হয় না, তাই আমরা স্টুডেন্টরা আন্দোলনে নেমেছি। আমরা স্টুডেন্টরা গত জুলাইয়ে আন্দোলন করতে পেরেছি এবং দেশের পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য বারবার আন্দোলন করতে পারি। আমরা রাজনীতিক মহলকে সচেতন করতে চাই যে আপনারা সচেতন না হলে জুলাই একবার নয়, বারবার আসবে।

তিনি আরও বলেন, গত চার মাসের ১৪’শ খুনের দায় একমাত্র ইন্টেরিমের। আমরা বিশ্বাস করে ইন্টেরিমকে বসিয়েছিলাম। তারা বিশ্বাসের জায়গা রাখতে না পারলে পদত্যাগ করুক। ব্যর্থতা স্বীকার করুন, দরকার হলে পদত্যাগ করে যোগ্য মানুষকে আনুন, তবুও দেশ ঠিক রাখুন।

আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাইমুল বলেন, আমরা স্টুডেন্টরা সবসময় ন্যায়ের পক্ষে ছিলাম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলাম। এই নৃশংস হত্যা, যা আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। এই নৃশংস হত্যার জন্য আমরা ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। দ্রুত বিচার করে তা একটি উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হোক যাতে বোঝা যায়, এমন নৃশংসতারও কি বিচার হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিহাল বলেন, এক জুলাই থেকে আরেক জুলাই, আমরা ঠিক আবার সেই একই জায়গায় উপনীত হলাম। আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হলো। গতবার আমরা হাসিনার বিরুদ্ধে নেমেছিলাম, এবার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নামলাম। গত চার মাসে আমরা দেশে ১৪‘শ হত্যাকাণ্ড দেখেছি। এর দায় কি একমাত্র রাজনৈতিক দলের? আমরা জুলাই বিপ্লব যেই উদ্দেশ্যে করেছিলাম, সেটি যেন বাস্তবায়িত হয়। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় সকল প্রকার চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস থেকে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!