আইইউবিএটি ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর  © টিডিসি ফটো

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। মঙ্গলবার (৮জুলাই) আইইউবিএটি কনফারেন্স হলে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।

এই সমঝোতার মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কৃষি গবেষণা, অ্যাকাডেমিক সহযোগিতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা যায়।

আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব এবং কেজিএফ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, গবেষক ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইইউবিএটির পক্ষে অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস, কৃষি অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ মিয়া, কৃষি অনুষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম সিরাজুল করিম, মিয়ন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সজল সাহা এবং কৃষি অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ও সমন্বয়কারী ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম। কেজিএফ-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট ও ন্যাচারাল রিসোর্সেস এর সিনিয়র স্পেশালিস্ট ড. মো. মনোয়ার করিম খান এবং নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার।

এ ছাড়াও আইইউবিএটির কৃষি অনুষদের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং কেজিএফ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আবদুর রব বলেন, ‘কৃষি খাতে টেকসই উন্নয়ন ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে যৌথ অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসডিজি অর্জনে এই ধরনের অ্যাকাডেমিক ও গবেষণাভিত্তিক অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’

কেজিএফ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার বলেন, ‘আইইউবিএটির সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। আইইউবিএটিতে কৃষি গবেষণার যে সম্ভাবনা রয়েছে, তা এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে আরও সম্প্রসারিত হবে। এখন থেকে আইইউবিএটির শিক্ষকগণ কেজিএফ-এর বিভিন্ন গবেষণা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন, যা দেশের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ 

এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যৌথ গবেষণা প্রকল্প, কৃষিপ্রযুক্তি হস্তান্তর, অ্যাকাডেমিক বিনিময় ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানা গেছ। এটি বাংলাদেশের কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে এবং কৃষি উন্নয়নে টেকসই অগ্রগতির পথ সুগম করবে। 

 


সর্বশেষ সংবাদ