তথ্য-সাক্ষরতা বাড়াতে নতুন নেটওয়ার্ক, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে কর্মশালা

কর্মশালায় আয়োজকরা
কর্মশালায় আয়োজকরা  © টিডিসি

তথ্য ও মিডিয়া সাক্ষরতা (Media and Information Literacy - MIL) প্রসারে জাতীয় পর্যায়ে একটি নেটওয়ার্ক গঠনের লক্ষ্যে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে উদ্বোধনী সভা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ জুন) দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশ নেন দেশের ১৬টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা।

‘একটি স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের কৌশল’ শীর্ষক এ কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির তথ্য অধ্যয়ন বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মো. হাসিনুল এলাহী। ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ MIL খাতে ইউনেস্কোর ভূমিকা তুলে ধরেন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে এর প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করেন।

MIL নেটওয়ার্ক গঠনের রূপরেখা ও কাঠামো উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. দিলারা বেগম। তিনি এ উপলক্ষে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। যা ভবিষ্যতে নেটওয়ার্কের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দিকনির্দেশনা দেবে। ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রতিনিধিত্বকারী নূরে জান্নাত প্রমা সম্ভাব্য কর্মকৌশল ও সহযোগিতার সুযোগগুলো তুলে ধরেন।

সকালের অধিবেশনের সমাপ্তি বক্তব্যে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক শামস রহমান বলেন, ‘তথ্য-সাক্ষরতা শুধু অ্যাকাডেমিক দক্ষতা নয়, এটি এখন একটি সামাজিক দায়িত্ব। নীতিগতভাবে এবং যৌথভাবে আমরা ডিজিটাল বিভ্রান্তি ও ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চাই।’

বিকেলের কর্মশালায় ‘ডিজিটাল বিভ্রান্তি নিরসন’, ‘তথ্য যাচাইয়ের আধুনিক প্রযুক্তি’, এবং ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য হ্রাসে কার্যকর কৌশল’ শীর্ষক তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। যথাক্রমে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম, অধ্যাপক ড. দিলারা বেগম ও গবেষক নাদিম ফারহাদ।

সমাপনী অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা ও মতামত বিনিময় করেন। বিদায়ী বক্তব্য দেন ইউনেস্কো প্রতিনিধি নূরে জান্নাত প্রমা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক ড. দিলারা বেগম।

আয়োজকেরা জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে MIL অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আরও সক্রিয়ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এগিয়ে যাবে। একইসঙ্গে নীতিনির্ধারণী স্তরেও তথ্য-সাক্ষরতা উন্নয়নের জন্য অভিন্ন অবস্থান গঠনের একটি সুযোগ তৈরি হবে।

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি গর্বের সঙ্গে জানিয়েছে যে, তারা ২০১৭ সাল থেকে গ্লোবাল MIL সপ্তাহ পালন করছে এবং ২০২৩ সাল থেকে ইউনেস্কোর সঙ্গে যৌথভাবে এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করছে। এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও আরও বিস্তৃত আকারে চালিয়ে নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!