উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত

‘পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫’
‘পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫’  © সংগৃহীত

দেশ-বিদেশের প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের অংশগ্রহণে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫’। ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রোবো টেক ভ্যালি-এর যৌথ উদ্যোগে শুক্র ও শনিবার আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার তুলে ধরা হয়।

প্রতিযোগিতায় দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকেও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। মোট ৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা ১৫০টি দল এতে অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুল। প্রতিযোগিতায় মোট ১২টি ক্যাটাগরি রাখা হয়, যার মধ্যে ছিল রোবো সকার, লাইন ফলোয়িং রোবট, রোব ওয়ারস, প্রকল্প প্রদর্শনী, আইডিয়া কম্পেটিশন, সুমো রেস, কুইজ প্রতিযোগিতা, ড্রোন রেসিং, প্রোজেক্ট শোকেজ এবং ইন্টার ইউনিভার্সিটি প্রোগ্র্যামিং কনটেস্ট। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ৬ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরা ৪০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া এবারের আয়োজনে নতুন সংযোজন হিসেবে ছিল ইন্টার ইউনিভার্সিটি প্রোগ্র্যামিং কনটেস্ট, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি, রোবট ইন মুভি, হ্যাকাথন ও রোবটিক্স কুইজ।

উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা বলেন, তরুণদের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাদের প্রতিভাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আমরা গর্বিত, বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তিতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছচ্ছে।

ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী বলেন, পঞ্চম আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৫ তরুণদের মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা, সৃজনশীল চিন্তাধারা এবং বাস্তবভিত্তিক সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

প্রতিযোগিতার আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে এই অলিম্পিয়াডের পরিধি আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে দক্ষিণ এশিয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নেতৃত্বদানকারী একটি দেশ।

উত্তরা ইউনিভার্সিটির পক্ষে ছিলেন ট্রেজারার, ডীনবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা। অলিম্পিয়াড বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডীন অধ্যাপক ড. মির্জা গোলাম রব্বানী ও সিএসই বিভাগের এসিসটেন্ট প্রফেসর মো. ওয়াহিদুর রহমান। এছাড়া, ইন্টার ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ও প্রতিযোগিতায় সফল করতে বিশেষভাবে অবদান রাখেন স্কুল অব সিভিল, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সহযোগী অধ্যাপক ও ডীন মো. সুলতানুল ইসলাম, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড স্যোশাল সায়েন্স-এর ডীন (ভারপ্রাপ্ত) ও এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. শাহ আহমেদ, এ্যাসোসিয়েট ডীন প্রফেসর ড. মো. শাখাওয়াত জামান সরকার, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ও এসিসটেন্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আমানুল ইসলাম ও আইটি ডিরেক্টর মো. এহসানুল হক।

অলিম্পিয়াডে প্রধান অতিথি ছিলেন পূর্বাণী গ্রুপের চেয়ারম্যান, ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার। বিশেষ অতিথি কম্পিউটার বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কলামিস্ট ও লেখক মোহাম্মদ কায়কোবাদ ও পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহিদুল ইসলাম। আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চাপ্টারের পক্ষে ছিলেন প্রফেসর ড. মো. ওবায়েদুর রহমান ও প্রফেসর ড. কে এম আজহারুল হাসান।

অনুষ্ঠানে আয়োজনে রোবো টেকভ্যালির পক্ষে ছিলেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ এস এম আহসানুল সরকার আকিব ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. মো. আহসান হাবিব।


সর্বশেষ সংবাদ