ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে স্বল্প দৈর্ঘ্যের পরিবেশবান্ধব চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী  © সৌজন্যে প্রাপ্ত

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ‘স্মল ফাইল মিডিয়া ফেস্টিভাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ ইংলিশ অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ এর উদ্যোগে মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

এই উৎসবে ১১টি পরিবেশবান্ধব স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এসব চলচ্চিত্র যা পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে কাজ করেছে এবং ন্যূনতম কার্বন নিঃসরণ নিশ্চিত করেছে।

এই চলচ্চিত্র উৎসবটি কানাডার সাইমন ফ্রেজার ইউনিভার্সিটির ‘স্মল ফাইল মিডিয়া ফেস্টিভ্যাল’ এর সহযোগিতায় আয়োজিত হয়েছে।

এতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে বেশ কয়েকটি কর্মশালার মাধ্যমে এই চলচ্চিত্রগুলো তৈরি করা হয়েছে। এই কর্মশালাগুলো পরিচালনা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইংলিশ অ্যান্ড হিউম্যানিটিজের সিনিয়র লেকচারার মোহাম্মদ জাকি রেজওয়ান এবং ‘স্মল ফাইল মিডিয়া ফেস্টিভ্যাল’এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাইমন ফ্রেজার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. লরা মার্কস।  

স্মল ফাইল মিডিয়া’ এমন চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহিত করে, যা ছোট ফাইল সাইজ, কম ব্যান্ডউইথের মাধ্যমে স্ট্রিমিং এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাস নিশ্চিত করে। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ফেস্টিভ্যাল স্ট্রিমিং মিডিয়ার পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে। প্রতি মিনিটে মাত্র ১ মেগাবাইট ফাইল সাইজের এসব চলচ্চিত্র পরিবেশের তেমন একটা প্রভাব ফেলেনা বলেই চলে।

এই চলচ্চিত্র উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া গবেষক ওলিউর রহমান সান এবং জলবায়ু আন্দোলনকর্মী সোহানুর রহমান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইংলিশ ও হিউম্যানিটিজ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. ফিরদৌস আজিম। তিনি পরিবেশবান্ধব ও সৃজনশীল চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

ড. লরা মার্কস এক ভিডিও বার্তায় বলেন, স্মল ফাইল মিডিয়া ফেস্টিভ্যালের লক্ষ্য হলো ন্যূনতম কার্বন নি:সরণ এবং নান্দনিকভাবে উদ্ভাবনী চলচ্চিত্র নির্মাণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা।

ড. সুসান ভাইজ টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সোহানুর রহমান ও ওলিউর রহমান সান কার্বন নিঃসরণ কমাতে ব্যক্তিগত ও বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

এই চলচ্চিত্র উৎসবে ১১টি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। 

চলচ্চিত্রগুলো হলো সাকিব সাদির “হারমনি অব হার্ট অ্যান্ড হাসল” নাজমুল হাসানের “আবদুল্লাহ” সুমাইয়া শামস জয়িতার “ওয়াইল্ড অ্যান্ড ফ্রি” নক্ষত্র রায়ের “ইলিসিয়াম” মো. তাহজিদ আহসানের “দ্য ভেইল অব করোশন”মো. মীর শওকত হোসেনের “লাস্ট আওয়ার”মেহজাবিন আহমেদ মুমুর “লিভিং উইথ নেচার” মাহমুদুল হাসান আকন্দের “ওয়ান্ডারিং ওয়ান্ডারিং” ফারিহা শাহিনের “লস্ট প্লেগ্রাউন্ডস”ফারিয়া ইসলাম দীপ্তির “পলিউশন প্রোডাকশন” এবং আসিফুর রহমান তৈরি করেছেন “পেইন”।


সর্বশেষ সংবাদ