বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনার

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনার
সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনার  © টিডিসি ফটো

ইন্টারনেট বা সাইবার জগতে মূলত কোনো সীমানা নেই। তাই সাইবার অপরাধের ভয়াবহতাও অনেক। বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো স্থানে আক্রমণ করা সম্ভব। বাংলাদেশ নিজেদের ডিজিটাল হিসেবে ঘোষণা দিলেও সাইবার নিরাপত্তায় অনেক পিছিয়ে। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে শুধু সরকারি উদ্যোগ যথেষ্ট নয় বরং সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। বেসিস স্টুডেন্ট ফোরাম বিইউ চ্যাপ্টার এর সার্বিক সহযোগিতায় ‘সাইবার নিরাপত্তা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এআইইউবি’র সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ব্রি. জে. মাহাবুবুল হক (অব.), বাগসবিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলওয়ার আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান সাদিক ইকবাল। সেমিনারটি সঞ্চলন করেন সিএসই বিভাগের প্রভাষক পবন সাহা চৌধুরী।

মূল আলোচনায় অংশ নিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান হিসাব অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ইন্টারনেটের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৭ কোটি। দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সেবা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোর বেশির ভাগই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু সরকারেরই কাজ নয়, বরং নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, মূলত ইন্টারনেট জগতের কোনো বর্ডার (সীমানা) নেই এবং এখানে কারও একক মালিকানাও নেই। পুরো পৃথিবী এক। সুতরাং বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধের ভয়াবহতা ব্যাপক। পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে আক্রমণ করা সম্ভব। তাই সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

বাগসবিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলওয়ার আলম বলেন, সাইবার স্পেসে কোনো দেশের জন্য নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই। পুরো পৃথিবী এক। সবাই সাইবার ঝুঁকির মধ্যে। সাইবার নিরাপত্তার জন্য সবাইকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিইউ’র রেজিস্ট্রার ব্রি. জে. মাহাবুবুল হক বলেন, শুধু  ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নয়। প্রত্যেক মানুষই সাইবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যেমন একজন কৃষক মুঠোফোন ব্যবহার করেন। তাঁর মুঠোফোনে একজন সাইবার অপরাধী কোনো খুদে বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে ফাঁদ পাতলো এবং ওই কৃষক অসচেতনতার কারণে সেই ফাঁদে পা দেওয়ার মাধ্যমে তাঁর অ্যাকাউন্টের সব টাকা চলে যেতে পারে।

সেমিনারের দ্বিতীয় পর্বে এ সংক্রান্ত এক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের সনদ তুলে দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ