আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করা নিয়ে যা বললো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:১১ PM , আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৪০ PM
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে তাকে কেন চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অফ কমিউনিকেশন্স থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেই শিক্ষকের অফিসিয়াল ই-মেইল ডিজেবল করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “আসিফ মাহতাব উৎস ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তার সাথে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার কর্মী এবং তাদের চুক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্যাম্পাসে সবার মাঝে সহযোগিতামূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে।”
আরও পড়ুন: ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্প পাঠ্যবই থেকে ছিঁড়ে প্রতিবাদ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
এর আগে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া অফিসিয়াল ই-মেইলটি ডিজেবল করে দিয়েছে বলে জানিয়েছিল আসিফ মাহতাব। ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছিল তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করে চাকরি হারাচ্ছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক!
এর আগে, গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে হিজড়া: ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্পে তুলকালাম
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এসময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসিফ মাহতাবের এমন কর্মকাণ্ড ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর আগে গতকাল রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুকে ব্র্যাক থেকে চাকরিচ্যুত করা সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘আজকে আমি ব্র্যাকে রেগুলার ক্লাস নিয়েছি। আমাকে (রাত ১১টা) এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস না নিতে না যাই। আমি জানি না, হঠাৎ কেন তারা এই সিদ্ধান্ত নিলো। আমাকে কোনো কারণ জানানো হয়নি।’’