জামায়াত-এনসিপি জোটে ‘হ্যাঁ’ ১৮৪ জনের, বিরোধিতায় ৩০ জন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৮ PM , আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ PM
জামায়াত নেতৃত্বাধীন ৮ দল ও এনসিপির আসন সমঝোতার জোট প্রায় চূড়ান্ত। এখন চলছে সর্বশেষ হিসাব-নিকাশ। দ্রুতই এ বিষয়ে ঘোষণা আসছে বলে বলছে উভয় দলটির একাধিক সূত্র। জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিরোধিতা করে ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন আরও কয়েক নেত্রীও। তারাও যেকোনো সময় পদত্যাগ করবেন দলের একাধিক নেতা সূত্রে জানা যাচ্ছে।
এনসিপি সূত্র বলছে, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মোট সদস্য ২১৬ জন। এর মধ্যে জামায়াতের সাথে এনসিপির জোট নিয়ে পক্ষে মত দিয়েছেন ১৮৪ জন কেন্দ্রীয় নেতা। আর নীতিগত আপত্তি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে বাকি ৩০ জন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দলীয় জোটের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট বা আসন সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে যে আলোচনা সামনে এসেছে, সে বিষয়ে আমরা স্পষ্টভাবে আমাদের আপত্তি জানাচ্ছি।’
এতে বলা হয়, ‘আমরা সম্মানসহকারে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, দলের যে কোনো জোটনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই নীতিগত প্রশ্নগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হোক এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক জোটে না যাওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করা হোক। আমরা মনে করি, নীতিগত অবস্থানের ভিত্তিতে কৌশল নির্ধারিত হওয়া উচিত, কৌশলগত কারণে নীতিগত অবস্থান বিসর্জন দেয়া উচিত নয়।’
‘জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে যে ত্রিশ জন দ্বিমত পোষণ করেছেন, তার বাইরে যারা আছেন, সবাই সমঝোতার পক্ষে। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মোট ২১৬ জন সদস্য রয়েছেন।’-যুগ্ম সদস্য সচিব, এনসিপি
জানতে চাইলে দলটির কেন্দ্রীয় অন্তত তিন নেতা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, দুই শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতার মধ্যে ৩০ জন জামায়াত নেতৃত্বাধীন ৮ দলের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। বাকি ১৮৪ জন সমঝোতায় যাওয়ার কথা বললেও সেখানেও অনেকে এই জোটবিরোধী। নানা কারণে তারা হয়তো প্রকাশ্যে মুখ খুলছে না।
অন্য আরেক নেতা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, শুধু যে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা হবে, তাই ৩০ নেতা বিরোধিতা করছে- এমন নয়। এর বাইরে নিজের নির্বাচনী আসন নিয়ে বনিবনা না হওয়ার কারণেই অনেকে বিরোধিতা করছে।
কেন্দ্রীয় এক যুগ্ম সদস্য সচিব বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে যে ত্রিশ জন দ্বিমত পোষণ করেছেন, তার বাইরে যারা আছেন, সবাই সমঝোতার পক্ষে। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মোট ২১৬ জন সদস্য রয়েছেন।’
সমঝোতার বিরোধিতা করে স্মারকলিপি দেওয়া নেতারা হলেন- যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, ফরিদুল হক, মোঃ ফারহাদ আলম ভূঁইয়া এবং ইমন সৈয়দ; কেন্দ্রীয় সংগঠক আরমান হোসাইন, যুগ্ম আহ্বায়ক অর্পিতা শ্যামা দেব, নুসরাত তাবাসসুম, খালেদ সাইফুল্লাহ; দক্ষিণাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা মো. শওকত আলী, মো. ওয়াহিদ উজ জামান, নফিউল ইসলাম, হামযা ইবনে মাহবুব, নয়ন আহামেদ ও আসাদ বিন রনি; উত্তরাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী; যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ্, খান মোঃ মুরসালীন, মো. সাদ্দাম হোসেন এবং আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল।