নোয়াখালীতে ত্রাসের রাজত্ব রুখে দিতে ব্যবসায়ীদের শপথ; পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি
- নোয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩ AM
নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন আন্ডারচরের বাংলা বাজার এলাকায় অব্যাহত সন্ত্রাসী কার্যক্রম, ভূমি জবর দখল এবং সম্প্রতি চাঁদার দাবিতে বাংলা বাজার ব্যবসায়ী মো. হোরণের বসতঘরে ভাংচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব মাইজচরা বাংলাবাজারে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অগ্নিসন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে শপথ পাঠ করেন বাজার ব্যবসায়ী, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষ।
সমাবেশে ভুক্তভোগীরা বলেন, ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনায় আমেরিকা প্রবাসী শাকিল এর পৃষ্ঠপোষকতায় স্থানীয় সন্ত্রাসী মো. হাসান মিস্ত্রি ও মাহফুজ ডাকাতের নেতৃত্বে প্রকাশ্য-দিবালোকে বাংলা বাজার এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চলছে। ৫ই আগষ্টের আগে এসব সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ছিল। এখনো দেদারসে এসব কার্যকলাপ অব্যাহত রয়েছে। প্রতিনিয়ত এসব ঘটনা ঘটলেও পুলিশ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
এর আগে চাঁদা না পেয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী মো. হাসান মিস্ত্রি ও মাহফুজ ডাকাতের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায় এবং গত ৩০ শে নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫ টায় কালো পর্দায় লাগিয়ে বাড়ি ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ বাজার ব্যবসায়ী মো. হোরণের বসত ঘর, গোডাউন ও রান্নাঘর সহ অন্তত তিনটি ঘরে মধ্যযুগীয় কায়দায় লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী মো. হোরণ বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এতে বাজার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বেশ শঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা আন্ডারচরে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি করে অনতিবিলম্বে এসব অপরাধীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন ইমরান,আন্ডারচর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সহ সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেতা মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু সুফিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক পল্লী চিকিৎসক আলী আহম্মদ রাশেদসহ আরো অনেকে।