বিএনপি নেতাকে মারধররের অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যানসহ আটক ৩
- ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৪ AM
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় বিএনপি নেতা এসএম সারওয়ারকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গুরুতর আহতবস্থায় ঐ বিএনপি নেতাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে উপজেলার পাটিরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের ঘটনায় জড়িত হামলাকারী ৩ জনকে পাটিরা বাজারের একটি ঘরে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শত শত ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে হামলাকারী সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, তার ছেলে তোফায়েল আহামেদ তমাল ও শিবলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহত এসএম সারওয়ার ফকির কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল করিম সরকারের সমর্থক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ।
অন্যদিকে হামলাকারীরা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী আখতারুল আলম ফারুকের সমর্থক।
শনিবার রাত প্রায় ৮টার দিকে পাটিরা বাজারে তমাল বিএনপি নেতা করিম সরকারকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করলে প্রতিবাদ করেন বিএনপি নেতা সারওয়ার। এ ঘটায় তর্ক-বির্তক হয় দুজনের মধ্যে। কিছুক্ষণ পর তোফায়েল আহামেদ তমাল লোকজন নিয়ে পাটিরা বাজারে একটি ঘরে বসে থাকা সারওয়ারের উপর হামলা করে বেধরক মারধর করেন। খবর পেয়ে করিম সরকার গ্রুপের শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা পাটিরা বাজারে এসে হামলাকারীদের একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
আহত সারওয়ার বলেন, বিএনপি নেতা ফারুকের সমর্থকরা আমার উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ব্যাপক মারধর করে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওয়াদিয়া বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহতাবস্থায় সারওয়ার নামের একজনকে নিয়ে আসা হয় জরুরি বিভাগে। তার বাম হাত ও বাম চাপায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান বলেন, মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অবরুদ্ধ ৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।