জাতীয় দলের গণসংযোগে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে হামলায় গুলিবিদ্ধ ২, আহত ২০

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায় নির্বাচনি গণসংযোগ কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপির নেতৃত্বে হামলায় বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন সঙ্গী ১২ দলীয় জোটের নেতা বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পণ্ড হয়েছে। হামলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে এবং হামলাকারীরা স্থানীয় নেতাকর্মীদের ৩০ টি মোটর সাইকেল নিয়ে গেছে। এছাড়া, হামলায় কমপক্ষে ৩০টি পিকআপ ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। 

শনিবার (২২ নভেম্বর) শাহাদাত হোসেন সেলিম স্বাক্ষরিত ১২ দলীয় জোটের নিন্দা শীর্ষক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজকে (শনিবার) আমাদের ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ সৈয়দ আহসানুল হুদার নেতৃত্বে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরে পূর্বঘোষিত গণমিছিল ছিল কর্মসূচি ছিল। সেটা বাজিতপুর ডাকবাংলো থেকে বিকেল ৫টায় শুরু হওয়ার সময় ছিল। এতে বাজিতপুরের ১১ ইউনিয়ন থেকে লোকজন আসার কথা ছিল। উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের লোকজন একসঙ্গে আসার সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের আপন দুলাভাই (আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন) তার বাড়ির সামনে ২৫০-৩০০ জন সশস্ত্র লোক নির্বিচারে হামলা করে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। হামলাকারীরা ৩০ টি মোটর সাইকেল নিয়ে গেছে। কমপক্ষে ৩০টি পিকআপ ভাঙচুর করেছে। 

এতে বলা হয়, বাজিতপুর পৌরসভার ফায়ার সার্ভিস মোড়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে আরেক দফায় হামলা করা হয়। সেই হামলা প্রতিরোধ করে আমরা সমাবেশস্থলে আসি। এর মধ্যে বিএনপির সমর্থক সেলিম ও উপজেলা বিএনপির সদস্য কামাল গুরুতর আহত হয়েছেন। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত রুবেল, সোহেল, রমজানসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

অভিযোগ করে বলা হয়, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। মনিরুজ্জামান মনির নিজে উপস্থিত থেকে হামলা চালানোর হুকুম দিয়েছেন।

এমন ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে। ১২ দল জানাচ্ছে যে, হামলাকারীদের প্রতি বিএনপি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ করবে। প্রশাসনের প্রতি ১২ দলের দাবি অচিরেই হামলাকার দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক। 

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, ১২ দলীয় জোট প্রধান ও  জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইউনাইটেড লিবারেল পার্টির চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান। 


সর্বশেষ সংবাদ