বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী © টিডিসি সম্পাদিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় এবার বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। এবারের নির্বাচনে মনোয়ন পেতে যাচ্ছে চলমান আন্দোলনের শরিক দল, র্শীর্ষ ব্যবসায়ী, নারী, অমুসলিম, জুলাই যোদ্ধা, ছাত্র প্রতিনিধি, উপজাতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ—জামায়াতের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগামী মাসে জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা করতে ইতিমধ্যে নির্বাচনি টিম বর্তমানে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তকরণের কাজ করছে বলে জানিয়েছে দলটি।
এ বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিক তালিকার ভিত্তিতে আগামী মাসে আমাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ তালিকায় আমরা চাচ্ছি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে অর্ন্তভুক্ত করতে। এর মধ্যে তরুণরা বেশি থাকবে। এছাড়াও শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক, নারী প্রতিনিধিরাও থাকবে এ তালিকায়।
তিনি বলেন, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় ৮ দলের শরিকরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান জামায়াত।
এদিকে ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভিপি এবং জিএসরা। ইতিমধ্যে দলটি সব আসনের জন্য প্রার্থী নির্ধারণ করেছে এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি ও মাঠ পর্যায়ের তৎপরতা শুরু করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-ভিপি-জিএসরা!
দলটির প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এবারের প্রার্থী তালিকার প্রায় ৮০ শতাংশ নতুন মুখ, যারা আগে কখনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। নির্বাচনে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ৫৯। আগের নির্বাচনগুলোতে প্রবীণ নেতাদের আধিপত্য থাকলেও এবার ৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী তরুণ নেতৃত্বকে সামনে আনার চেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে দলটি।
জামায়াতের সূত্রে জানা গেছে, চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশ নেওয়া মহিলা, অমুসলিম, জুলাই যোদ্ধা, ছাত্র প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তকরণের পর বড় ধরনের চমক থাকবে বলেও দলের সূত্র জানা গেছে। এবারের পরিকল্পনায় শরিকদের অংশ নিশ্চিত করতে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় অন্তত চারজন সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) জামায়াতের মনোনয়ন পেতে পারেন বলেও জানা গেছে।
এছাড়া সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত তিনজন ভিপি এবং দুইজন জিএসসহ কয়েকজন ছাত্র প্রতিনিধিকেও মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। উল্লেখযোগ্য, এরা সবাই জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির নেতা ছিলেন।
ছাত্র প্রতিনিধিদের তালিকায় ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমের নাম আলোচনায় আছে। এছাড়াও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগাও বিবেচনায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে জামায়াতের পরিকল্পনা অনুযায়ী একজন উপদেষ্টা এবং আরও কয়েকজন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতার জন্য প্রয়োজনীয় আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে দলটি। তবে, জোট প্রতিষ্ঠিত না হলে দলের নিজের কয়েকজন প্রার্থীকে এ আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে। দলের সূত্র জানাচ্ছে, চূড়ান্ত তালিকায় আসন ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এখনও চলমান।