ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হচ্ছে সারা দেশে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২৬ AM
আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী চক্রের ষড়যন্ত্র রুখে জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ়প্রত্যয়ে সিপাহি-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল। সেদিন সিপাহি-জনতা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তমকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করে। তাই ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক অনন্য ঐতিহাসিক তাৎপর্যমণ্ডিত দিন হিসেবে বিবেচিত।
সিপাহি–জনতার এই বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসন ও জনজীবনে বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটে। একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে দেশ ফিরে আসে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতার পথে।
এ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী দিয়েছেন। পাশাপাশি দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বিএনপি ১০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনও দিবসটি ঘিরে নানা কর্মসূচি পালন করছে।
তারেক রহমানের বাণী:
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি:
ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি যে ১০ দিনের কর্মসূচি পালন করছে, তার মধ্যে রয়েছে। আজ সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, এবং বিকেল ৩টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারা দেশের জেলা–উপজেলায় র্যালি আয়োজন।
এ ছাড়া বিএনপি ও এর অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনসমূহও স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করছে। এর মধ্যে ৫ নভেম্বর শ্রমিক দলের আলোচনা সভা, ৮ নভেম্বর ছাত্রদলের আলোচনা সভা এবং ৭ ও ৮ নভেম্বর টিএসসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ৯ নভেম্বর ওলামা দলের উদ্যোগে এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ১০ নভেম্বর তাঁতী দলের আলোচনা সভা, ১১ নভেম্বর কৃষক দলের আলোচনা সভা এবং ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)–এর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ ছাড়া বিএনপির উদ্যোগে ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে ৬ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ভিডিও, স্থিরচিত্র ও ডকুমেন্টারি ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াসহ ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে।