সমুদ্র বন্দর নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস  © সংগৃহীত

সমুদ্রবন্দর উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলকে নতুন সিঙ্গাপুরে পরিণত করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় যদি আমরা মাতারবাড়ি, কক্সবাজার, মহেশখালী সবকিছু মিলিয়ে একযোগে বন্দর উন্নত করি, তাহলে পুরো এলাকা নতুন সিঙ্গাপুরে পরিণত হবে। এটা নির্ঘাত। এটার থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবে না। সব দেশের মানুষ এখানে আসবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা আমাদের অর্থনীতির অংশ হিসেবে আঞ্চলিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারি। আমরা নেপালে, ভুটানে, সেভেন সিস্টারসে- তাদের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি শুধু এই বন্দরের কারণে, এই যোগাযোগের কারণে। তারাও সমৃদ্ধ হবে, আমরাও সমৃদ্ধ হবো। কাজেই এই সুযোগগুলো আছে, যদি আমরা পথমত ঠিকমতো চলতে পারি।‘

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলছি যে, আমরা যদি সমুদ্র বন্দর করে দিই, তাহলে সারা দুনিয়ার জাহাজ আমাদের বন্দরে ভিড়তে বাধ্য হবে। আমাদের পণ্য সিঙ্গাপুরে খালাস করে দিয়ে চলে যেতে হবে না। অন্য দেশের পণ্য সিঙ্গাপুরে খালাস করে দিয়ে যেতে হবে না। আমার দুয়ার পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারবে এবং অন্যান্য দেশের যারা সুযোগ দিতে পারবে না, তাদের পণ্য এখানে দেওয়া যাবে। আমাদের এখান থেকে তারা নিয়ে যাবে। কাজেই এটা একটা বিরাট সুযোগ।‘

বঙ্গোপসাগরকে সম্পদের সম্ভার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা আমাদের যে সম্পদ আছে, যেটা আমরা ব্যবহার করতে পারিনি। আমি বারে বারে যেটার কথা উল্লেখ করি- এটা হলো বঙ্গোপসাগর। বঙ্গোপসাগর আমাদেরই অঞ্চল, আমাদেরই বাংলাদেশের অংশ। কোনোদিন আমরা খেয়াল করে দেখি নাই এই অংশে আমরা কী করি। এই অংশ অত্যন্ত সম্পদশালী অংশ। আমরা বলছি যে এটা আমরা পূর্ণ ব্যবহার করতে চাই, সম্পদকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা আর তর্ক-বিতর্কের মধ্যে থাকতে চাই না। সেজন্যই আজকে সনদ হলো। এই সনদ তর্ক-বিতর্কের অবসান করবে। আমরা নিয়মমতো চলে যাবো। আমরা এখন নিয়ম মাফিক চলার জন্য তৈরি হয়েছি।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ২৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা  সনদে স্বাক্ষর করেন।

 

 

 

 

 

 


সর্বশেষ সংবাদ