মির্জা ফখরুল-আখতারদের কেন ছেড়ে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস, বললেন ডা. তাহের

খালেদ মুহিউদ্দিন ও জামায়াত নেতা
খালেদ মুহিউদ্দিন ও জামায়াত নেতা  © সংগৃহীত

নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিএনপি ও এনসিপি নেতাকর্মীদের লাঞ্চনার ঘটনার রেশ যেন থামছেই না। আজ ২৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দফায় হামলা চেষ্টার শিকার হয়েছে এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করেছেন তরুণ এই নেতা, ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দিয়েছেন ভিডিও বার্তাও।

কী হয়েছিল সেদিন, বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দিনের সঙ্গে খোলামেলা শেয়ার করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ড. ইউনূস কেন ছেড়ে গিয়েছিলেন কিংবা বিমানবন্দর থেকে কেন একসাথে বের না হয়ে আলাদা বের হয়েছিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, আমরা একসাথেই বের হতে চেয়েছিলাম; কিন্তু পরে দেখলাম ড. ইউনূস এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা (জি-১) একরকম; আমাদেরটা অন্যরকম (বি১/বি২)। এ কারণেই আলাদা বের হতে হয়েছে এবং আলাদা প্রটেকশনের ব্যাবস্থা ছিল। এখানে একটা ‘কমিউনিকেশন গ্যাপ’ হয়েছে। ড. ইউনূসের মত একইরকম প্রটেকশন চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু অথরিটি (কর্তৃপক্ষ) বলছে, ‘সম্ভব ‌নয়’। এ কারণেই ওই সার্ভিসের আওতায় আমরা পড়িনি।

জামায়াতের নেতা আরও বলেন, এত কিছুর পরও ড. ইউনূস আমাদের জন্য ১০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু একসঙ্গে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। 

জামায়াত-বিএনপি নেতাদের ড. ইউনূস মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন- এমন প্রশ্নে ডা. তাহের বলেন, এটা একমদই বাজে কথা। যারা বলে, না বুঝে বলে। আমরা তো আর ড. ইউনূসের পক্ষে লড়াই করব না।

ঠিকানাকে দেওয়া ওেই সাক্ষাৎকারে জামায়াতের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ডিস্টার্ব করতে পারে, এটা আগেই থেকে অনুমান করার ছিল। সুতরাং যদি বলি, হামলা হবে কি, নাকি হবে না কিংবা জানি না; তাহলে সেটা ভুল হবে। কারণ এমন ঘটনা ওরা আগেও ঘটিয়েছে। কিন্তু এক্সাক্ট তারা কী করবে- সেটা তো ঘটনা ঘটার পর বুঝা গেল।

হামালার বিষয়ে জামায়াত আগে থেকেই জানত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা হঠাৎ করেই ‘তাহের ভাই, তাহের ভাই জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিলে আমি তাদের বলি, তোমরা ফখরুল সাহেবের নামে স্লোগান দাও। কারণ, এটা খারাপ লাগছিল, আমার নিজেরও মনে হলো- উনি (মির্জা ফখরুল) নিজেও বিষয়টায় বিব্রত হচ্ছেন। এসব বিষয় আমলে নিয়েই আমি একটু স্লো (ধীরগতি) হয়ে গেলাম; যেন স্লোগানগুলো ফখরুল ভাইয়ের কানে না পৌঁছে। এভাবেই আমি পিছিয়ে পড়ি। ইতোমধ্যে কর্মীরা আমাকে ফুল দিল, ব্যানার দিল। এগুলো করতেই কয়েক মিনিট চলে গেছে। এরমধ্যেই যে সামনে এ ধরনের বিব্রতকর ঘটনা ঘটে গেছে, সেটা আমরা টেরও পাইনি। পরে জানলাম।’

জামায়াতের এই নেতা বলেন, খেয়াল করলে দেখবেন, আখতারকে আমাদের ছেলেরা প্রটেক্ট করছে। ফখরুল সাহেবকেও আমাদের ছেলেরা নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছে। ঘটনা যাই হোক, এটা ব্যাড কালচার; হওয়া উচিত না।


সর্বশেষ সংবাদ