সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করতে প্রশাসনে আওয়ামী দোসররা সক্রিয়: রিজভী
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ PM
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে প্রশাসনের ভেতরে এখনও আওয়ামী লীগের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কলেজপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে কিশোর প্রযুক্তি উদ্ভাবক আহনাফ বিন আশরাফ নাবিলকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া আর্থিক অনুদান হস্তান্তর করা হয়।
রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার রেখে যাওয়া দোসররা যায়নি। প্রশাসনের ভেতরে তারা এখনো অবস্থান করছে। তারা চায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে এবং অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে। এজন্য তারা পরিকল্পিত অস্থিরতা ও নৈরাজ্যের ছক আঁকছে, যাতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে নির্বাচন না হয়।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে রক্তস্রোত বইয়েছেন, তার জন্য দায়ী প্রশাসনের যেসব ব্যক্তি— তাদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে পাসপোর্ট অফিসকে। অথচ যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আছে, তাদের এ সুবিধা দেওয়ার কথা নয়। এ থেকেই বোঝা যায় প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা লোকরা শেখ হাসিনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয় রয়েছে।”
সংবিধান প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “সংবিধান আইন অনুযায়ী সংশোধন হতে পারে। কিন্তু সংসদ ছাড়া কোনো কিছুই আইন হিসেবে গণ্য হতে পারে না। এ সীমার বাইরে গেলে তা আইনের শাসনের চেতনাকে ব্যাহত করবে।”
তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “জনগণের শক্তির কাছে কোনো শক্তিই টিকতে পারবে না। শেখ হাসিনাও শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। নতুন করে যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, অবশেষে এ দেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, গণতন্ত্র ফিরে আসবে এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষিত হবে।”
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসনে মাহবুব শ্যামল, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহ-সভাপতি এ. বি. এম. মমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।