বুয়েট শিক্ষার্থীদেরকে রক্তাক্ত করার সাহস প্রশাসন কোথায় পায়?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২৮ PM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৮ AM
পুলিশের হাতে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) নিজ ভেরিফাইড আইডিতে দেয়া এক পোস্টে এ প্রশ্ন করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে এবং সকল প্রকার কোটার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সব সময় জারি থাকবে। বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতিটি যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি এবং তাদের ওপরে হামলায় যারা জড়িত তাদেরকে ধিক্কার জানাই।
পুলিশকে দিয়ে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদেরকে রক্তাক্ত করার সাহস এই প্রশাসন কোথায় পায় সেই জবাব তাদেরকে দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, তিন দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় এক সাংবাদিকসহ ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে কমিটি গঠন করেছে সরকার।
তাদের দাবিগুলো হলো
ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনও পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারী উভয়ের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।