সিলেটে বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার বাগবিতণ্ডা, ভিডিও ভাইরাল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ০৯:০৪ PM , আপডেট: ০১ জুন ২০২৫, ১১:৫৩ AM
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বচসায় জড়ান সিলেটের শীর্ষ দুই নেতা। শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদির মধ্যে ঘটে এই ঘটনা। সেই রাতে ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
শুক্রবার নগরের দরগা গেট এলাকার কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন রেজাউল হাসান কয়েস লোদি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে জাবি উপাচার্যের বক্তব্য ভাইরাল, কী বলেছিলেন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘যার হাত ধরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তার শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সিলেট মহানগর বিএনপির ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রথম সারির কোনো নেতা নেই। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে সংগঠনের প্রতি আমাদের কর্তব্য কী?’
পরে সভার সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদি তার বক্তব্য ফেসবুকে লাইভ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা প্রায়ই বলতে শুনি, ৫ আগস্টের নেতা-কর্মী, আপনি ৫ আগস্টের আগে কোথায় ছিলেন? আরে ভাই, ৫ আগস্টের আন্দোলন ছিল মাত্র ১৫ দিনের। কিন্তু গত দেড় দশক থেকে আন্দোলন করেছে, যারা জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছে, তাদের কোনো মূল্যায়ন নেই? আপনি প্রধান অতিথি, আপনি আমাদের উৎসাহ দেবেন।’
এ সময় আরিফ মঞ্চে বসে কয়েস লোদির উদ্দেশে বলেন, ‘নো নো।’ একপর্যায়ে চেয়ার থেকে উঠে এসে বলেন, ‘এই শোনো, এই শোনো, আমি যে বক্তব্য দিয়েছি সেটার আলোকে কথা বলো। আমি কী বলেছি, পার্টির চেয়ারম্যানের।’ এ সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদি বলেন, ‘আমার বক্তব্য তো রেকর্ড আছে; কী বলেছি। কেন তিনি হঠাৎ এভাবে চেয়ার থেকে উঠে আসলেন, আমার বোধগম্য হয়নি। এখনো হচ্ছে না।’
আরিফুল হক চৌধুরীর দাবি, ‘দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদাতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকা দরকার। এইটা ছিল আমার বক্তব্য। আমি তো আর বসে থাকতে পারি না। বেয়াদবির তো একটা সীমা আছে?’