অব্যবস্থাপনার অভিযোগে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে দুদকের অভিযান
- রংপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৭:২৯ PM , আপডেট: ২৯ মে ২০২৫, ০১:৩৪ AM
টিকিট কালোবাজারি ও রেলকর্মীদের দায়িত্বে অবহেলা নিয়ে জন-অসন্তোষের অভিযোগে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৮ মে) বেলা দেড়টায় দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. শাওন মিয়ার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় তারা স্টেশনের বাথরুম, প্ল্যাটফর্ম ও যাত্রী অপেক্ষমাণ কক্ষগুলোতে অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখতে পান। দুদক কর্মকর্তারা স্টেশনের পরিবেশ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অভিযানে স্টেশনের বিভিন্ন টিকিট কাউন্টার, প্ল্যাটফর্ম, অফিস কক্ষ ও যাত্রীসেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা রেলওয়ে কর্মীদের উপস্থিতি ও দায়িত্ব পালনের বাস্তব অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন। এ ছাড়া স্টেশনের সার্বিক পরিবেশ, বিশেষ করে বাথরুম, প্ল্যাটফর্ম ও যাত্রী বিশ্রামাগারের অব্যবস্থা ও অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। দুদক কর্মকর্তারা যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এসব বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
দুদকের উপপরিচালক মো. শাওন মিয়া বলেন, ‘রংপুর রেলস্টেশনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে না। যাত্রীদের জন্য একটি ওয়েটিং রুম আছে। আরেকটি খোলার জন্য বলা হয়েছে। টিকিট যেন কালোবাজারে না আসে, সে জন্য সতর্ক করা হয়েছে। এই অভিযান শুধু নজরদারির অংশ নয়; বরং একটি সতর্কবার্তা, যাতে রেলসেবার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকিট ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি ব্যবহারের উন্নয়ন, নিয়মিত কর্মী উপস্থিতি ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলোতে দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ প্রয়োজন। সেগুলো আমরা প্রধান কার্যালয়ে জানাব।’
এ বিষয়ে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট শংকর গাঙ্গুলী বলেন, ‘এখানে যাত্রীর খুব চাপ। টিকিট সব অনলাইনে। এখানে টিকিট কালোবাজারি নেই। এখানে মাত্র তিনজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী আছেন, তাদের মধ্যে একজন মীরবাগ স্টেশনে কাজ করেন। দু’জন সার্বক্ষণিক কাজ করেন, তারপরও ময়লা হয়। স্টেশন ব্যবস্থাপনার আরও উন্নতি করা হবে।’