রাজধানী ঢাকায় হর্ন ছাড়া ২০ হাজার কিলোমিটার স্কুটি চালালেন তিনি

হর্ন না বাজিয়ে এই স্কুটি ২০ হাজার কিলোমিটার চালিয়েছেন নাইম-আল-মিফতা
হর্ন না বাজিয়ে এই স্কুটি ২০ হাজার কিলোমিটার চালিয়েছেন নাইম-আল-মিফতা  © টিডিসি

আমাদের দেশে সড়কে চলাচলের সময় হর্নের আওয়াজে টেকা দায়। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বিভিন্ন বাহনের চালকরা হর্ন বাজান। এমনটি ‘নো হর্ন জোনে’ দেদারে হর্ন বাজানো হয়। আর ঢাকা শহর তো শব্দের শহর। অবাক করা বিষয়, এ শব্দের শহরে হর্ন না বাজিয়ে একজন ২০ হাজার কিলোমিটার ভ্যাসপা স্কুটি বাইক চালিয়েছেন।

এই স্কুটিচালকের নাম নাইম-আল-মিফতা। তিনি পেশায় হেলথ এমআইএস এক্সপার্ট। তিনি এইচআইএসপি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনে কর্মরত আছেন।

নাইম-আল-মিফতা বলেন, ‘কোভিডের সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আমি একটি ভ্যাসপা স্কুটি বাইক কিনি। পেশাগত ও ব্যক্তিগত কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমি ঘুরেছি। সেসব দেশের অনেকগুলোতে আমি একটি বিষয় খেয়াল করেছি, তা হলো হর্ন বাজানোর প্রবণতা নেই বললেই চলে। যখন আমি স্কুটিটি কিনি, তখন থেকেই স্ট্রিক্টলি চেষ্টা করছি হর্ন না বাজিয়ে চালানোর জন্য। এভাবে আমি প্রথমে ১ হাজার কিলোমিটার চালাই। এরপর আস্তে আস্তে সেটা আমি ২০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে গেছি। এই ২০ হাজার কিলোমিটার চালানোর সময় আমি একবারও হর্ন দেয়নি।’

আরও পড়ুন: আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় কুয়েট শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ

তিনি বলেন, ‘উন্নত বিশ্ব শুরু থেকেই এতটা উন্নত ছিল না। কালের বিবর্তনে তারা কীভাবে ভালো থাকা যায়, সেগুলো শিখেছে, প্র্যাকটিস করেছে এবং ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে। আমরা যখন গল্প করি, অমুক দেশে সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চলে, অমুক দেশে কোনো হর্ন শোনা যায় না, অমুক দেশের রাস্তাঘাট খুবই পরিষ্কার—এগুলো আসলে সেসব দেশের মানুষের দৈনন্দিন চলাফেরার প্র্যাকটিসের মাধ্যমেই সৃষ্টি। আমরা একজন একজন করে যদি পরিবর্তিত হতে পারি, তবে একদিন আমাদের দেশটা পরিবর্তন হয়ে যাবে। আমি, তুমি, আপনি, আমরা মিলেই বাংলাদেশ।’

নাইম-আল-মিফতা আরও বলেন, ‘হর্ন আমাদের অনেক ক্ষতি করে। শুধু কানের ক্ষতি করে তা নয়, একই সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষতি করে আমাদের সারা দিনের ক্লান্তি বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে হর্নের কারণে আমাদের চারপাশের পরিবেশে চরমভাবে শব্দদূষণ সৃষ্টি হয়।’


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!