সরকারি চাকরি পেয়ে ছেড়ে চলে যাবে! সন্দেহে স্ত্রীর হাত কাটলেন স্বামী

স্ত্রী নার্সের চাকরি পাওয়ার পর তাঁর ডান হাত কব্জি থেকে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। চাকরি পাওয়ার পর রেণু তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় শেখ মহম্মদ তার স্ত্রীর হাত কেটে নিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রেণুর পরিবার। জানা গেছে, রেণু ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। তাঁর স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়ার। সম্প্রতি তিনি নার্সের চাকরিও পান। অভিযোগ, এর পরেই শেখ মহম্মদের কয়েক জন বন্ধু তাঁকে বোঝায়, চাকরি পেলে রেণুর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হতে পারে। অভিযোগ, এর পরই বন্ধুদের সঙ্গে মহম্মদ পরিকল্পনা করেন রেণুর হাত কেটে নেওয়ার। শনিবার রাতে রেণু যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাঁর ডান হাত কব্জি থেকে কেটে ফেলা হয়। এর পর রেণুকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সে সময় মহম্মদ রেণুর ডান হাতের কাটা অংশটি লুকিয়ে রাখেন বলেও অভিযোগ।

ঘটনার পর শেখ মোহাম্মদ এবং তার পরিবারের সকলে গা ঢাকা দিয়েছেন। বাড়িতে ঝুলছে তালা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বর্তমানে রেণু দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।

আরও পড়ুন: গরুর হাটে তাড়া খেলেন কাবিলা-হাবুরা!

রেণু নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এর মাঝে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেন তিনি। উত্তীর্ণও হন। চাকরির প্যানেলে তাঁর নাম ওঠে। সম্প্রতি হাতে পেয়েছিলেন চাকরিতে যোগদানের চিঠিও। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কি তাঁর চাকরি করা সম্ভব? 

বিষয়টি সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। আমরা দেখছি কী হয়েছে।’ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ নিয়ে হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সচিব নরেন্দ্রনাথ দত্ত বলছেন, ‘আক্রান্ত তরুণী আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে বা অন্য কোনও সাহায্য চাইলে আমরা পাশে দাঁড়াব। তবে তিনি চাকরি পেয়ে গিয়ে থাকলে বিষয়টি আমাদের এক্তিয়ারে থাকে না।’ সূত্র: আনন্দবাজার।

The Daily Campus এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন