বাবার স্বপ্ন বাঁচাতে, সরকারের কাছে নালিশ ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর

বাবার স্বপ্ন বাঁচাতে, সরকারের কাছে নালিশ ছাত্রীর
বাবার স্বপ্ন বাঁচাতে, সরকারের কাছে নালিশ ছাত্রীর  © ফাইল ফটো

অনেক কষ্ঠ করে প্রতিদিন একটু একটু করে জমানো সঞ্চয় দিয়ে একটা ছোট্ট নিজের বাসস্থানের স্বপ্ন দেখেছিলেন বিলকিসের বাবা। তাই জমানো সব টাকা দিয়ে এই শহরের বুকে এন্টালি এলাকায় ফ্ল্যাটের জন্য টাকা দিয়েছিলেন। নির্মাণ কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিনা কোনও কারণে সেই ফ্ল্যাট দেওয়া হচ্ছিল না সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জাহিন বিলকিসের বাবাকে।

এর জেরে ঐ শিক্ষার্থীর বাবার সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে ‘নিজের বাড়ি’ তৈরির যে স্বপ্ন ছিল, তা ভাঙতে বসেছিল। কিন্তু বিলকিসের বুদ্ধিতে সেই স্বপ্ন ভঙ্গের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেল গোটা পরিবার। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে নালিশ জানাল ঐ ছাত্রী। তাতে কাজও হল দ্রুত। এবং মিটে গেল সকল সমস্যা।

আরও পড়ুন: বাকৃবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রিভান্স রিড্রেসাল সেলে একটি চিঠি লিখেছে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। চিঠি লেখার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে প্রতিকারও পেয়েছে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার। সেখান থেকেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এন্টালি থানাকে। মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই এন্টালি থানা থেকে ওই পরিবারকে প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস জানিয়ে ফোন করা হয়। ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ায়, এন্টালির বাসিন্দা ওই ছাত্রীর পরিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বই উৎসব নিয়ে শঙ্কা

আরও জানা যায়, রফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার জন্য ২০২০ সালে ওই এলাকায় ৬৫০ বর্গফুটের দু-কামরার ফ্ল্যাটের জন্য রিয়েল এস্টেট ডেভলপারকে ১৬ লক্ষ টাকা দেন। নির্মাণকাজের অনেকটা হয়ে গেলেও তাদের ‘পজেশন’ দেওয়া হয়নি। কিন্তু ফ্ল্যাট না দেওয়ার জন্য বৈধ কোনও কারণও দেখানো হয়নি রফিকুল ইসলামকে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু

রফিকুল ইসলামের এই সমস্যা বিষয়ে রাজ্য সচিবালয়ের এক আধিকারিক জানান, ২০২০ সালে ৬৫০ বর্গফুটের দু’কামরার একটি ফ্ল্যাটের জন্য সংশ্লিষ্ট রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারকে ১৬ লক্ষ টাকা দেন রফিকুল। নির্মাণকাজের অনেকটা হয়ে গেলেও তাদের পজেশন নিতে দেওয়া হয়নি। তিনি টাকা ফেরত অথবা ফ্ল্যাটের পজেশন পেতে নানাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না। গত অগাস্ট থেকে রফিকুল এই মানসিক চাপ নিতে না পেরে ক্রমশ ভেঙে পড়ছিলেন। কিন্তু তার ছোট মেয়ে হাল ছাড়েনি। বাবার স্বপ্ন ভাঙতে বসেছে দেখে এবং বাবার মানসিক অবস্থা দেখে, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়। এরপর চিঠি পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ হয়। কয়েকদিনের মধ্যে তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানও হয়। স্বস্তি পায় পরিবারটি। সূত্র: বংনিউজ-২৪


সর্বশেষ সংবাদ