‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স করোনার চেয়েও ধ্বংসাত্মক হতে পারে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © ফাইল ফটো

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) মহামারি করোনাভাইরাসের চেয়েও ধ্বংসাত্মক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের সময়ের সংজ্ঞায়িত চলমান জনস্বাস্থ্য সংকট। যা এরই মধ্যে ৩০ লাখেরও বেশি লোকের জীবন নিয়েছে। তবে এএমআর আকারে আসন্ন মহামারিটি বিশ্ব স্বাস্থ্যের আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে। এটি সঠিকভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব না হলে খাদ্য সুরক্ষা এবং উন্নতির পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থানসহ প্রতিটি জীবকে বিপন্ন করতে পারে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, ব্যাকটেরিয়া, নানাবিধ ভাইরাস, ফাঙ্গাস ও পরজীবী যখন মুহূর্তেই রূপ বদলে নিয়ে শক্তিশালী সংক্রমণ ও রোগ ছড়াতে সাহায্য করে এবং ওষুধের বিপরীতে কাজ করা ছেড়ে দেয়। ফলে হঠাৎ রোগবালাই ব্যাপকহারে বাড়ে এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এমন অবস্থাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা এএমআর বলা হয়।

‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স অন ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ’-এর দ্বিতীয় সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে আজ মঙ্গলবার (৪ মে) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এএমআর সম্পর্কে সতর্কতা উচ্চারণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এএমআর কেবল মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদের স্বাস্থ্যকেই বিপন্ন করবে না, পাশাপাশি তা খাদ্য সুরক্ষা এবং এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য) অর্জনের অগ্রগতির জন্যও হুমকিস্বরূপ। এন্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স ভৌগোলিক অবস্থান এবং আর্থসামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে যেকোনও ব্যক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে।

আরও পড়ুন: বংশালে রিকশাওয়ালাকে মারধরকারী সেই ব্যক্তি আটক

এএমআর মহামারি প্রতিরোধে বিশ্বের সামনে সাতটি পরামর্শ রেখেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রথম প্রস্তাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কন্টেইনমেন্ট-এআরসি’র লক্ষ্য অর্জনের জন্য বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং সমীক্ষা তদারকির পাশাপাশি প্রতিবেদনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রস্তাবে কার্যকর এবং অন্তর্ভুক্ত এএমআর নজরদারি এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালগুলোর যথাযথ ব্যবহার এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্তরে নীতি ও নীতি বিকাশের পরামর্শ দেন।

চতুর্থ প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং মালিকানা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যের এবং কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধায় ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি তাঁর পঞ্চম প্রস্তাবনায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে এএমআর-নির্দিষ্ট এবং এএমআর-সংবেদনশীল কর্মের জন্য পর্যাপ্ত এবং টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। 

এএমআর প্রতিরোধে ষষ্ঠ ও সপ্তম প্রস্তাবনায় বিনিয়োগে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ