শিশুসাহিত্যের জন্য চালু হলো চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার, অর্থমূল্য ৮২ লাখ টাকা

প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে দ্য চিলড্রেনস বুকার প্রাইজ
প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে দ্য চিলড্রেনস বুকার প্রাইজ  © প্রতীকী ছবি

শিশুতোষ গল্পের জন্য পুরস্কার দেবে দ্য বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন। পুরস্কারটির নাম হবে দ্য চিলড্রেনস বুকার প্রাইজ। গতকাল শুক্রবার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নতুন এই পুরস্কার চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২৭ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে প্রথম দ্য চিলড্রেনস বুকার প্রাইজ বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। প্রসঙ্গত, এত দিন শুধু ইংরেজি ও অনুবাদ সাহিত্যে বুকার পুরস্কার দেওয়া হতো।

শিশুতোষ গল্পের জন্য পুরস্কার চালুর মধ্য দিয়ে আরেকটি প্রথমও দেখতে যাচ্ছে সাহিত্যজগতের খ্যাতনামা এই পুরস্কার। দ্য চিলড্রেনস বুকার প্রাইজের জন্য বিচারকের আসনে শিশুরাও থাকবে। তারাই বাছাই করবে ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা গল্পের বই।

২০২৭ সালের জন্য দ্য চিলড্রেনস বুকার প্রাইজের বিচারক প্যানেলে নেতৃত্ব দেবেন ফ্র্যাঙ্ক কটরেল-বয়েস। তিনি শিশুদের জন্য লেখেন ও যুক্তরাজ্যের শিশুসাহিত্য দূতের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন আরও দুই বিচারক। তাঁদের কাজ হবে প্রথমে আটটি বইয়ের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা। এরপর এই তালিকা থেকে বিজয়ী নির্ধারণে সহায়তার জন্য তিন শিশু বিচারককে এই প্যানেলে যুক্ত করা হবে।

প্রতিবছর সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ও পুরস্কারজয়ী শিশুতোষ গল্পের বইয়ের অন্তত ৩০ হাজার কপি শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিশুদের পড়ার অভ্যাস গত দুই দশকের মধ্যে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিষয়টি ভেবেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ড থেকে প্রকাশিত ইংরেজিতে লেখা বা অনূদিত সমকালীন শিশুসাহিত্যের মধ্য থেকে বাছাই করে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। বিশ্বের যেকোনো লেখক এই পুরস্কারের প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে পারবেন। সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রত্যেক লেখক পাবেন ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড। বিজয়ী পাবেন ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা)।

২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশিত বইগুলো ২০২৭ সালের পুরস্কারের জন্য বিবেচ্য হবে। ২০২৬ সালের নভেম্বরে নির্বাচিত বইয়ের সংক্ষিপ্ত তালিকা ও শিশু বিচারকদের নাম ঘোষণা করা হবে। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হবে প্রথম দ্য চিলড্রেনস বুকার প্রাইজ বিজয়ীর নাম।

বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী গ্যাবি উড বলেন, ‘চিলড্রেনস বুকার প্রাইজ বিগত ২০ বছরের মধ্যে আমাদের নেওয়া সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী একটি উদ্যোগ। আমরা আশা করছি, এই পুরস্কারের প্রভাব আগামী বহু দশক ধরে সমাজ ও সাহিত্যজগতে প্রতিধ্বনিত হবে।’

শিশুতোষ গল্পের জন্য বুকার পুরস্কার চালুর খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ফ্র্যাঙ্ক কটরেল-বয়েস। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিশুদের জন্য তাদের পছন্দের বই খুঁজে পাওয়া আরও সহজ হবে। বিচারক বানানো ও বই উপহার দিয়ে বই পড়ার জাদুকরি জগতে আনা সম্ভব হবে হাজারো শিশুকে।


সর্বশেষ সংবাদ