গাজা সিটি দখলে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল

গাজা সিটি দখল ও নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পিত স্থল অভিযানের প্রাথমিক পযার্য় শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজা সিটি দখল ও নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পিত স্থল অভিযানের প্রাথমিক পযার্য় শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।   © সংগৃহীত

গাজা সিটি দখল ও নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পিত স্থল অভিযানের প্রাথমিক পযার্য় শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে তারা গাজা উপত্যকার উপকণ্ঠে অবস্থান নিয়েছে। গত মঙ্গলবার গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনার অনুমোদন দেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। এ অভিযানে অংশ নিতে আগামী সেপ্টেম্বরের শুরুতে ৬০ হাজার সংরক্ষিত সেনা তলব করা হচ্ছে।

গতকাল টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, ২২ মাসের যুদ্ধে হামাস এখন ক্ষতবিক্ষত ও বিধ্বস্ত। আমরা গাজা সিটিতে হামাসের ওপর আরও গভীরভাবে আঘাত হানব। ভূপৃষ্ঠ ও ভূগর্ভস্থ ‘সন্ত্রাসী’ অবকাঠামো ধ্বংস করব এবং হামাসের ওপর জনগণের নির্ভরতা ছিন্ন করব।

আইডিএফের এ মুখপাত্র বলেন, সেনাবাহিনী অভিযান শুরুর জন্য বসে থাকছে না। আমরা প্রাথমিক পদক্ষেপ শুরু করেছি। আইডিএফ ইতিমধ্যে গাজা সিটির উপকণ্ঠে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। জেইতুন এলাকায় দুটি ব্রিগেড ও জাবালিয়ায় আরেকটি ব্রিগেড কাজ করছে। তাঁর দাবি, জেইতুনে সাম্প্রতিক অভিযানে অস্ত্রভর্তি একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গও শনাক্ত করা হয়েছে। এসময় ডেফরিন বলেন, বেসামরিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গাজা সিটির বাসিন্দাদের আগে থেকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।

ডেফরিন জানান, গাজায় এখনো ৫০ জন জিম্মি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযানে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তবে তাঁদের পরিবারগুলোর আশঙ্কা, স্থল অভিযানে জিম্মিদের জীবন হুমকিতে পড়তে পারে।

এদিকে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযানের শুরু পর বহু ফিলিস্তিনি গাজা সিটি থেকে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেরিও গুতেরেস বলেছেন, ব্যাপক ধবংস এবং মৃত্যু এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

এদিকে ইসরায়েলের অনেক মিত্রও  গাজা সিটি দখলের এ পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে। গতকাল বুধবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ সতর্ক করে বলেছেন, এ পরিকল্পনা ‘দুই জাতির জন্যই বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং গোটা অঞ্চলকে স্থায়ী যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) বলেছে, নতুন করে বাস্তুচ্যুতি ও সহিংসতা বেড়ে গেলে গাজার ২১ লাখ মানুষের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নির্মম যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সূত্রঃ বিবিসি


সর্বশেষ সংবাদ