ফোনালাপের অডিও ফাঁস, থাই প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

বরখাস্ত হওয়া থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা
বরখাস্ত হওয়া থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা  © সংগৃহীত

ক্যাম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের ফাঁস হওয়া একটি অডিওকে কেন্দ্র করে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত দেশটির প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বরখাস্ত করেছেন। মঙ্গলবার দেশটির সাংবিধানিক আদালত সাময়িকভাবে তাকে বরখাস্তের আদেশ দেয়। বরখাস্ত হওয়ার পরও পেতংতার্ন সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়েছে। 

দেশটির সাংবিধানিক আদালত জানায়, ৩৬ জন সিনেটরের করা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওই আবেদনে পেতংতার্নের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন ও নৈতিকতা বিরোধী আচরণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে ১৫ জুন ক্যাম্বোডিয়ার সাবেক প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে পেতংতার্নের একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপ। যেখানে তাকে হুন সেনকে চাচা সম্বোধন করে থাই সেনাবাহিনীর অবস্থানের বিরুদ্ধাচরণ করতে শোনা যায়।

ফাঁস হওয়া অডিওতে পেতংতার্ন বলেন, আপনি কিছু চাইলে শুধু বলবেন, আমি দেখভাল করব। এ বক্তব্যে বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন, এতে থাইল্যান্ডের জাতীয় স্বার্থের অবমূল্যায়ন ঘটেছে।

এই ঘটনার পর থেকেই পেতংতার্নের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী ব্যাংককে বিক্ষোভে নামে সরকারবিরোধীরা। ইতোমধ্যে জোটসঙ্গী ভুমজাইথাই পার্টিও সরকার থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে, ফলে ক্ষমতাসীন ফিউ থাই পার্টি আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে।

তবে বরখাস্ত হওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে পেতংতার্ন বলেন, আমি আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল দেশের মঙ্গল, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সেনাসদস্যদের জীবন রক্ষা করা। তিনি আরও বলেন, এই ইস্যুতে কেউ ব্যথিত হয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এটি একটি ব্যক্তিগত আলাপ ছিল, যা জনসমক্ষে আসা উচিৎ হয়নি। আপাতত সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে তিনি মন্ত্রিসভায় থাকবেন। তবে তার জনপ্রিয়তা ক্রমাগত কমে যাওয়ার পাশাপাশি পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখিও হতে যাচ্ছেন তিনি।

এর আগে, একই আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্রেত্তা থাভিসিনকেও নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে পদচ্যুত করে এবং ২০২৩ সালের নির্বাচনে সর্বাধিক আসনপ্রাপ্ত প্রগতিশীল ‘মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি’কে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। থাইল্যান্ড ও ক্যাম্বোডিয়ার মধ্যকার প্রায় ৮১৭ কিলোমিটার স্থলসীমান্ত দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। সীমান্ত সংঘর্ষে এক ক্যাম্বোডিয়ান সেনার মৃত্যুর পরই এই কূটনৈতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়।

সূত্র: সিএনএন


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!