লাশ চেনা যাচ্ছে না! শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ নমুনা চাইল গুজরাট প্রশাসন
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৭:৩৯ PM , আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫, ১০:২১ AM
বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের অধিকাংশের লাশই চেনা যাচ্ছে না। দ্রুত তা শনাক্ত করার জন্য পরিবারের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা চাইল গুজরাত প্রশাসন। অহমদাবাদের বিজে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডিএনএ নমুনা দিতে বলা হয়েছে। দেহ শনাক্তকরণের কাজ তবে দ্রুত সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতরের সহকারী মুখ্যসচিব ধনঞ্জয় দ্বিবেদী। বিমানের যাত্রীদের সম্বন্ধে খোঁজখবর করার জন্য দু’টি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে ধনঞ্জয় বলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ বিমানে ২৩০ যাত্রী ছিলেন। বিমানকর্মী ছিলেন আরও ১২ জন। বেলা ১টা ৪০ নাগাদ ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে ওই বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানে অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতালের পড়ুয়া এবং কর্মীরা থাকতেন। সেখানেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ জনের বেশি আহতকে সিভিল হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
ডিএনএ নমুনার কথা জানিয়ে এর পরেই ধনঞ্জয় বলেন, যাদের আত্মীয়, নিকটজনেরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে ছিলেন, তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, বিজে মেডিক্যাল কলেজে এসে ডিএনএ নমুনা দিয়ে যান। যাতে মৃতদেহগুলি দ্রুত শনাক্ত করা যায়।
এ ছাড়া, বিমানে যারা ছিলেন, তাদের সম্বন্ধে কারও কিছু জানার থাকলে দু’টি হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। সেখানে যোগাযোগ করা যাবে। যাত্রীদের আত্মীয়দের অপেক্ষা করার জন্য মেডিক্যাল কলেজের একটি ভবন খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমানে থাকা ২৪২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডন গেটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১। কয়েক মিনিটের মধ্যে বিমানটি ভেঙে পড়ে। কাছেই বিজে মেডিক্যাল কলেজ এবং সিভিল হাসপাতালের হস্টেল ভবনে ধাক্কা খায় বিমানটি। সে সময়ে হস্টেলের মেস-এ খাবার খাচ্ছিলেন পড়ুয়ারায় সেখানেও একাধিক মৃত্যু হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিমানে যাত্রী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ১৬৯ জন। এ ছাড়া ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, সাত জন পর্তুগিজ এবং এক জন কানাডিয়ান ছিলেন বিমানে। অহমদাবাদের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, বিমানের কারও বেঁচে থাকার আশা নেই। ওই বিমানে ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। তারও মৃত্যু হয়েছে।