বিমান বিধ্বস্তের পর ক্ষতিগ্রস্ত হোস্টেল © এনডিটিভি
গুজরাটের আহমেদাবাদ বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচজন মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চারজন এমবিবিএস (স্নাতক) শিক্ষার্থী এবং একজন পিজি (স্নাতকোত্তর) রেসিডেন্ট ডাক্তার।
এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি মোট ২৪২ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমানটিতে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন কেবিন ক্রু ছিলেন।
লন্ডনগামী এই বিমানটি দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। মাত্র ৮২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরই তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার সময় শিক্ষার্থীরা দুপুরের খাবারের জন্য ক্যান্টিনে অবস্থান করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মুহূর্তের মধ্যে কানফাটা শব্দ ও ধোঁয়ায় চারপাশ ঢেকে যায়। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা গেছে, ক্যান্টিনের টেবিলে খাবারের প্লেট ও গ্লাস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে এবং ছাত্রাবাসের একটি দেয়াল ভেঙে গিয়ে বিমানের অংশবিশেষ সেখানে আটকে রয়েছে।
FAIMA (Federation of All India Medical Association) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবরে আমরা শোকাহত। ঘটনাটি আরও মর্মান্তিক হয়েছে যখন জানতে পারি বিমানটি বিজেএমসি’র ছাত্রাবাসে আঘাত করেছে এবং বহু এমবিবিএস শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং যেকোনো ধরনের সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গোটা চিকিৎসক সমাজ এবং মেডিকেল শিক্ষাঙ্গনে গভীর শোক ও উদ্বেগের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় প্রশাসন, দমকল ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও এয়ার ইন্ডিয়া এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।