বিয়ের রাতে নববধূর ফোনে প্রেমিকের মেসেজ, রেগে থানায় গেলেন বর
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:০৫ PM , আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৪ PM
বিয়ের রাতে নববধূর মোবাইলে একটি মেসেজ এসেছিল। সেটিতে কোনোভাবে চোখে পড়ে যায় বরের। এর পর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে প্রবল বচসা। এ ঘটনা শেষ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায় থানায়। পুলিশও বর-নববধূর মধ্যে বিবাদ মেটাতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার একটি গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। পাত্রের বাড়ি বীরভূমে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। দুই পরিবারের দেখাশোনার পর বিয়ে ঠিক হয়। পাত্র ও বরযাত্রীরা মুর্শিদাবাদ গিয়েছিলেন। শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটা দিকে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আর বিবাহ সম্পন্ন হতেই ঘটে বিপত্তি। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষের পরেই কিছুক্ষণের জন্য নতুন বর বাইরে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত তিনি ফিরে আসেন। দেখতে পান, নতুন বউ ফোনে মগ্ন হয়ে আছেন। জানা গেছে, ফোনে আসা একটি মেসেজ বরের নজরে পড়ে যায়। এরপরই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ফল প্রকাশ কবে, যা জানা যাচ্ছে
হইচই শুরু হয়ে যায় বিয়েবাড়িতে। এদিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে সোজা থানায় গিয়ে হাজির হন বর। একে একে দুই পরিবারের সদস্যরাও থানায় হাজির হন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে থানাতেই পুলিশ বিবাদ মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু কখনো বর বেঁকে বসেন, কখনো আবার নববধূ সংসার করতে চান না।
পাত্রপক্ষের দাবি, মেসেজে লেখা ছিল, ‘তুমি এখনো চলে এসে। আমি ঘর করতে রাজি আছি।’ কনের বক্তব্য, যাকে নিয়ে সারা জীবন কাটাতে হবে। তিনি ফোনে আসা একটি মাত্র মেসেজের জন্য এমন কাণ্ড ঘটাবেন! তা মানা যায় না। তাই বিয়ে হলেও স্বামীর ঘরে সংসার করতে পারবেন না তিনি। এদিকে স্ত্রী হিসেবে তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন নতুন বরও। মেয়েরবাড়ির লোকজন অনেক কিছু গোপন করেছে বলে দাবি তার। শুক্রবার দিনভর এই টানাপোড়েন চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: স্বামীর অনুপ্রেরণায় সহকারী জজ হলেন ইবির রিতু
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরই নববধূকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাত্র ও পাত্রীর দুজনের লিখিত গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় পাত্রীর বাবাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নববধূকে আদালতের নির্দেশে সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে।