কানাডার শত্রু দেশের তালিকায় যুক্ত হল ভারত

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদী
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদী  © ইন্ডিয়া টুডে

খালিস্তান পন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কানাডা-ভারতে সম্পর্ক এখন তলানিতে। উত্তেজনার এই পরিস্থিতিতে ভারতকে শত্রু দেশের তালিকায় ফেলেছে কানাডা। শনিবার (০২ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন কানাডিয়ান সরকার ভারতকে সাইবার নিরাপত্তায় ‘শত্রু দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
 
এতে বলা হয়,  ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে কানাডা। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত বলেছে, আন্তর্জাতিকভাবে তাদের আক্রমণ ও ক্ষতি করার জন্য কানাডা নতুন আরেকটি কৌশল হাতে নিয়েছে।
  
গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কানাডার সরকারের কিছু কর্মকর্তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন কানাডা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারা ভারতের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তিনি দাবি করেছেন ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ অর্থাৎ সাইবার শত্রু হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে কানাডা কোনো শক্তিশালী প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।

আরও পড়ুন: ভারতের হস্তক্ষেপ ‘মারাত্মক ভুল’ ছিল: ট্রুডো

নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধির জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা একে ভারতকে আক্রমণ ও বদনাম করার আরেকটি কানাডীয় কৌশল হিসাবে দেখছি। তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে, কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক মতামতকে নেতিবাচক করতে চাইছে।’

এর আগে গত ১৪ অক্টোবর কানাডায় খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা মামলায় ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাকে ‘স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি’ বলে উল্লেখ করে কানাডার পুলিশ। এতে চরম প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ভারত সরকার কানাডার ৬ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। একই দিন ভারত সরকার কানাডা থেকে তার হাইকমিশনার ও অন্যান্য কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদেরও প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। গত মঙ্গলবার কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনার পেছনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রয়েছেন বলে গুরুতর অভিযোগ তোলে কানাডা। এতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।


সর্বশেষ সংবাদ