পাঁচ বছর পর জুমার খুতবা, ইসরায়েলকে কড়া বার্তা দিলেন খোমেনি

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি  © সংগৃহীত

প্রায় পাঁচ বছর পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জুমার নামাজ পড়িয়েছেন। খুতবায় খামেনি দখলদার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই হামলা ইরানের ন্যায্য অধিকার। ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দখলদার ইসরায়েলের জন্য ন্যূনতম শাস্তি। শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) ইরানের রাজধানী তেহরানে খুতবায় এসব কথা বলেন খামেনি। খবর পার্স টুডের। 

আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, তেহরানের জুমার নামাজে আমার ভাই, আমার প্রিয় মানুষ, আমার গর্ব, মুসলিম বিশ্বের প্রিয় মুখ, এই অঞ্চলের জাতিগুলোর কণ্ঠস্বর এবং লেবাননের উজ্জ্বল রত্ন হাসান নাসরুল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করেছি।

হাসান নাসরুল্লাহ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, আমাদের মাঝে সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর শরীরী উপস্থিতি না থাকলেও তার পথ ও বক্তব্য আমাদের সাথে থাকবে। তিনি ছিলেন অত্যাচারী দানবদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ঝাণ্ডা। তিনি ছিলেন নির্যাতিত মানুষদের সাহসী কণ্ঠ ও সমর্থক। হাসান নাসরুল্লাহ সত্যসন্ধানী ও সত্যপথের সংগ্রামীদের উৎসাহ ও সাহসের উৎস ছিলেন। 

তিনি বলেন, তার জনপ্রিয়তা ও প্রভাবের পরিধি লেবানন, ইরান ও আরব দেশগুলোর গণ্ডিকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এই মহান ব্যক্তির মৃত্যু তার প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে দেবে। জীবদ্দশায় লেবাননের জনগণের প্রতি নাসরুল্লাহর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ছিল এই যে, ইমাম মুসা সাদ্‌র ও সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভির মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের হারিয়ে হতাশ হবেন না। 

খামেনি বলেন, নিজেদের শক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করুন, আগ্রাসী শত্রুর মোকাবেলায় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন এবং তাদের পরাজিত করুন। আমাদের শত্রুপক্ষ আবার ফিলিস্তিনি, লেবাননি, মিসরীয় এবং ইরাকিদেরও শত্রু। তারা ইয়েমেনি ও সিরীয়দের শত্রু। আমাদের শত্রু একই।

আজ খামেনিকে একনজর দেখতে তেহরানে খুতবায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। মুসল্লিদের কারও কারও হাতে হিজবুল্লাহর সবুজ ও হলুদ পতাকা ছিল। আবার কারও কারও হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence