সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে দেখতে স্ত্রীর পেট কাটলো স্বামী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ১২:১১ AM , আপডেট: ২৫ মে ২০২৪, ১২:১১ AM
অনাগত সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে— সেটি দেখতে স্ত্রীর পেট কাটেন ভারতের উত্তর প্রদেশের এক ব্যক্তি। এমন কাণ্ড ঘটানো সেই পাষণ্ড স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার (২৪ মে) জানিয়েছে, পান্না লাল নামের এই ব্যক্তি উত্তর প্রদেশের বাদুনস সিভিল লাইনের বাসিন্দা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি তার স্ত্রী অনিতাকে কাঁচি দিয়ে আঘাত করেন।
এই দম্পতি ২২ বছর ধরে বিবাহিত এবং তাদের পাঁচটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তবে ছেলে সন্তানের জন্য পান্না লাল তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন এবং ছেলে সন্তান জন্ম দেওয়া জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতেন। অনিতার পরিবার বিষয়টি জানত এবং তারা সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু স্বামী পান্না লাল স্ত্রীকে ডিভোর্স এবং ছেলে সন্তানের জন্য আরেক নারীকে বিয়ে করার হুমকি দিতেন।
যেদিন এ ঘটনা ঘটে তারা সেদিন অনাগত সন্তানের লিঙ্গ নিয়ে ঝগড়া করেন। ওইদিন তিনি স্ত্রীর পেট কেটে সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে সেটি দেখার হুমকি দেন। অনিতা এক সময় পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার পাষণ্ড স্বামী তাকে ধরে পেট কেটে ফেলেন। ওই সময় অনিতা আট মাসের অন্তঃস্বত্তা ছিলেন। অনিতা আদালতকে জানিয়েছিলেন, কাঁচি দিয়ে স্বামী তাকে এতটাই আঘাত করেন যে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে ঝুলে যায়। তারপর এ অবস্থায় সে দৌড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। রাস্তার পাশের দোকানে তার ভাই কাজ করতো। চিৎকার শুনে সে ছুটে আসে। তাকে দেখে পালিয়ে যায় পান্না লাল। অনিতা ওই হামলায় বেঁচে গেলেও তার পেটে যে সন্তান ছিল সেটি মারা যায়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো পরবর্তীতে জানা যায় তার গর্ভে ছেলে সন্তান ছিল।
তবে স্বামী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন তার স্ত্রীর ভাইয়ের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে ঝামেলা থাকায় তাকে ফাঁসাতে এই ঘটনা সাজানো হয়েছে। তবে তথ্য প্রমাণ পেয়ে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।