৫০ হাজার বছর পর বিরল ধূমকেতু যাচ্ছে পৃথিবী

৫০ হাজার বছর পর বিরল ধূমকেতু যাচ্ছে পৃথিবী
৫০ হাজার বছর পর বিরল ধূমকেতু যাচ্ছে পৃথিবী  © সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো আবারও ৫০ হাজারের বছরের মধ্যে খালি চোখে দেখা যাবে একটি বিরল ধূমকেতুকে। ফলে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে আবারও একটি বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। আগামী ১২ জানুয়ারি এটি সূর্যকে অতিক্রম করবে ধারণা করছে মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও ধূমকেতুটি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীকে অতিক্রম করার সময় পৃথিবী থেকে সহজেই কোনো দূরবীন ছাড়াই ধূমকেতুটিকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাবেন বিশ্ববাসী। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফফি।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং চাঁদের আলো আকাশকে বেশি আলোকিত না করে তবেই খালি চোখে দেখা সম্ভব এ বিরল দৃশ্যটিকে।

এ নিয়ে প্যারিসের ফ্রান্সের প্যারিস অবজারভেটরি জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস বিভার বার্তা-সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, পূর্ণিমার কারণে খালি চোখে দেখার সুযোগ না হলেও, জানুয়ারির ২১-২২ তারিখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য এটি পর্যবেক্ষণের ভালো একটি সুযোগ হতে পারে বলেও জানান তিনি।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিভার আরও জানিয়েছেন, ধূমকেতুটি ধূলিকণা ও এমিট এবং সবুজ আভা দিয়ে গঠিত।

এ ধূমকেতুকে প্রথমবার বৃহস্পতি গ্রহের পাশ দিয়ে যেতে দেখা যায় গত বছরের মার্চে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সংস্থা জুইকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তখন এর নাম দেয়া হয়েছিল সি/২০২২ই৩ (জেডটিএফ)।

অবশ্য মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা বলছে, অন্ধকার রাতের আকাশে ধূমকেতুটি খালি চোখে দৃশ্যমান হতে পারে। শহরের আলো বা চাঁদের আলো থাকলে তা স্পষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেও জানায় সংস্থাটি।

এর আগে বিগত ২০২০ সালের মার্চে পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা গিয়েছিল নিওওয়াইজ এবং ১৯৯৭ সালে খালি চোখে দেখা গিয়েছিল হেল-বপ নামের একটি ধূমকেতুকে। প্রায় ৬০ কিলোমিটার ব্যাস ছিল হেল-বপের। তবে সর্বশেষ ধূমকেতুটি আকারে খুব বেশি বড় হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।


সর্বশেষ সংবাদ