শিক্ষার্থীদের ভাবনায়— কেমন বাজেট চাই

বাজেট নিয়ে কথা বলেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী
বাজেট নিয়ে কথা বলেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী  © টিডিসি ফটো

একটি দেশের অগ্রযাত্রার পথ প্রদর্শক হিসেবে বাজেটই মূলত মুখ্য ভূমিকা পালন করে। যেকোন দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রবিন্দুও এই বাজেট। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। এমন এক সময়ে বাজেট ঘোষণা হতে হচ্ছে, যখন সারাদেশে মহামারী করোনা ভাইরাস জেঁকে বসেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে অর্থবিভাগ ইতোমধ্যেই ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। যা চলতি অর্থ-বছরের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি। এ উন্নয়ন বরাদ্দের মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ও বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা।

এছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিও সামনে রাখা হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে হঠাৎ চাকরি হারানো লাখ লাখ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কিভাবে কম খরচে নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়টিও ভাবছে সরকার। এজন্য এরই মধ্যে করোনা মোকাবিলায় কৃষিখাতে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেটে শারীরিক নিরাপত্তার কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকাও বাজেট থেকে ব্যয় করা হবে। যা অভ্যন্তরীণ বা সামষ্টিক মোট উৎপাদনের ৩ দশমিক ৫ শতাংশের সমান।

কিন্তু জাতির মেরুদণ্ড বলে পরিচিত শিক্ষাখাত অত্যন্ত মূল্যবান একটি খাত যে খাতে বরাবরই বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বরাদ্দ রাখার জোর দাবি করা হয়। যদিও কখনোই সেটা করা হয় না। বরং প্রয়োজনের তুলনায় ৮-১০% কম বরাদ্দ দেওয়া হয় এই খাতে। ইউনেস্কোর মতে একটি দেশের মোট বাজেটের ২০% শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা উচিত। কেননা, দক্ষ মানবশক্তিই পারে একটি দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে।

সেক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যাবস্থা সম্প্রসারণের ভূমিকা অপরিসীম। এই শিক্ষিত মানবসমাজই দক্ষ মনাবশক্তি গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তবুও আমাদের দেশের শিক্ষাখাতে ১১-১২% এর বেশি কখনোই বরাদ্দ দেওয়া হয়না।

আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে প্রকাশ হতে যাচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট। এটা আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বাজেট। সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী থেকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া আ হ ম মুস্তফা কামালের জন্যও এটি দ্বিতীয় বাজেট। এবারের বাজেট হবে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার। যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি।

বহুল আলোচিত এই বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে কাঙ্ক্ষিত বাজেট চান শিক্ষার্থীরা এছাড়াও করোনা পরিস্থিতির সংকটময় পরিস্থিতিতে অন্যান্য সবকিছুর মতো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাখাতও। তাই শিক্ষাখাতে বাজেট ঘোষণার ক্ষেত্রে আরে সুদূরপ্রসারী ভাবনার প্রতিফলন চান শিক্ষার্থীরা। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাবনায় উঠে এসেছে শিক্ষাও গবেষণা খাতে কেমন বাজেট চান তারা।

নাবিয়া হাসান মিম
ফার্মেসি বিভাগ

রাষ্ট্র উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে শিক্ষা। প্রত্যেক নাগরিকের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের রাষ্ট্রকে উন্নয়নের মূল শিখরে নিয়ে যেতে পারি। এজন্য ইউনেস্কোর গাইডলাইন অনুযারী আমাদের দেশেও শিক্ষাখাতে টোটাল বরাদ্দের ২০% বরাদ্দ করা উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের রাষ্ট্রে শিক্ষা খাতকে তেমন একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়না। প্রতি অর্থ বছর ঘোষিত হওয়া বাজেটে শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা অতি সামান্যই বলা চলে। এটা খুবই লজ্জাজনক বিষয়। আমাদের শিক্ষা খাতে আরো অনেক বেশি জিডিপি ব্যয় করা প্রয়োজন। আজকের সমাজে এতো বেকারত্ব, দক্ষ জনশক্তির অভাব কিংবা টেকসই উন্নয়ন না হওয়ার পিছনে শিক্ষা খাতে কম বরাদ্দই দায়ী।

শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণাও দেশের অগ্রগতির মূলে রয়েছে। কিন্তু বাজেটের বড় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে গবেষণা খাতে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গবেষণা খাতের বরাদ্দ খুবই কম। এত কম বরাদ্দ দিয়ে গবেষণা করা মোটেও সম্ভব নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার গুণগত মান না থাকার অন্যতম কারণ গবেষণাধর্মী কাজ হচ্ছে না, শিক্ষকদের যোগ্যতার অভাব। এমন বেহাল অবস্থার পরও মান বাড়ানোর জন্য বাজেট বাড়ানো হচ্ছে না। তাই, গবেষণা খাতে বাজেটের পরিমাণ আরো অনেক বেশি বাড়ানো অতি গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ও গবেষণা একে অপরের পরিপূরক। রাষ্ট্রের উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণাকেও অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

মোস্তফা তানভীর তুষার
প্রাণ-রাসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগ

দেশের শতকরা ৯৭ ভাগেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা এই তিন স্তরে বিন্যস্ত সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা। তাছাড়া মাদরাসা, ইংলিশ মিডিয়াম, ইংলিশ ভার্সন-সহ নানা ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যমান রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৫ লাখেরও বেশি শিক্ষক-কর্মচারী চাকরি করছেন এবং ৫ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। শিক্ষার সাথে মূলত সম্পৃক্ত আছেন দেশের সকল মানুষ।

সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে যে ব্যয় করেন তা জাতিগড়ার কাজে বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হয়। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বই মুদ্রণ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, অবকাঠামো নির্মাণ, আসবাবপত্র, বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামাদি সহ আরও অনেক ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয় শিক্ষাখাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে। শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের শতকরা ১২ থেকে ১৩ ভাগ বরাদ্দ করা হয়। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৩ ভাগ বরাদ্দ ছিল, যা পাশ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় কম।

এখন সময় হয়েছে একযোগে সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা এবং বৈষম্যে জর্জরিত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। পরিশেষে শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণের লক্ষ্যে ইউনেস্কো-আইএলও ঘোষিত জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করার জোর দাবি জানাই।

ধীরা ঢালি
ভাষা যোগাযোগও সংস্কৃতি বিভাগ

বাংলাদেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো শিক্ষাও গবেষণা খাত। জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হলে শিক্ষা ও গবেষণা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য এই খাতে বড়সড় বরাদ্দ আনা খুবই জরুরি। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও এখানো কোনো উন্নতি পরিলক্ষিত হয়নি। দেশের উল্লেখ্যযোগ্য অংশ এই মহৎ পেশার সাথে যুক্ত আছেন। কিন্তু, এই মহৎ পেশার ব্যক্তিরা পারিশ্রমিকের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে আছেন।

ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছেন যারা এ পেশায় আসতে ভয় পায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণ সমাজের জন্য বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা, বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতির উপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তা থেকে বাঁচার জন্য বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের এটাই শিক্ষণীয় শিক্ষাও গবেষণা খাতে আমাদের কতটা গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত, করোনা মহামারীর কারণে অনেক পরিবারই আজ অচল অনেক বেসরকারি চাকুরীজীবি তাদের চাকরি হারিয়েছে। তাছাড়াও যেসব শিক্ষার্থী টিউশনি করে তাদের পড়ালেখা এবং সাথে সাথে পরিবারের খরচও চালিয়েছে তারাও আজ বেকার ঘরে বসে আছে। শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বেশ বড় পরিসরের বরাদ্দ থাকলে অনেকাংশেই এই সমস্যাগুলো হতো না। এসব দিক বিবেচনা করলে অবশ্যই শিক্ষাও গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। তাই, আমি আশা করবো এবারের বাজেট থেকেই শিক্ষাও গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক।

সাজ্জাদ হোসেন
রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগ

একটি দেশের উন্নয়নে শিক্ষাখাত অন্যতম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এজন্য, যেকোন দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন করাও অতি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরেও শিক্ষা এবং গবেষণা খাতে কাঙ্ক্ষিত বরাদ্দ না থাকা একটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সরকার কখনো তার প্রতি বিশেষ নজর দেননি।এখনো আমরা যদি শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ব্যায় না করি, তাহলে মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে কর্মক্ষম করা সম্ভব হবে না। একইভাবে এত বড় জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিনত করাও সম্ভব হবে না।

আমাদের শিক্ষা খাতের বরাদ্দ আরো অনেক বেশি বাড়াতে হবে এবং সেই বরাদ্দ কীভাবে খরচ হচ্ছে; সেটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তা না হলে একটা জাতি হুমকির মুখে পড়ে যাবে। শিক্ষার মাধ্যমে একটা জাতি গড়ে তুলার সময় কোনো প্রকার অবহেলা একটা ভয়ংকর ভবিষ্যৎ জন্ম দিতে পারে। এইটা অনেকটা বীজ বপনের মত ভালো ফসল পেতে যেমন ভালো পরিচর্চা করতে হয় তেমনে অদূর ভবিষ্যতে উন্নত রাষ্ট্র এবং জাতি তৈরি করতে উন্নত শিক্ষার প্রয়োজন অপরিসীম এবং আমরা যদি শিক্ষার উন্নয়ন চাই তাহলে আমাদে অবশ্যই শিক্ষা খাতে মোট বাজেটের অন্তত ২০% বরাদ্দ করতে হবে।

নাহিদা সুলতানা
ইংরেজি বিভাগ

বাংলাদেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো শিক্ষাও গবেষণা খাত। জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হলে শিক্ষা ও গবেষণা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের উল্লেখ্যযোগ্য অংশ এই মহৎ পেশার সাথে যুক্ত আছেন। কিন্তু এই মহৎ পেশার ব্যক্তিরা পারিশ্রমিকের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে আছেন। ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছেন যারা এ পেশায় আসতে ভয় পায়।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণ সমাজের জন্য বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা, বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতির উপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তা থেকে বাঁচার জন্য বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের এটাই শিক্ষণীয় শিক্ষাও গবেষণা খাতে আমাদের কতটা গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত, করোনা মহামারীর কারণে অনেক পরিবারই আজ অচল অনেক বেসরকারি চাকুরীজীবি তাদের চাকরি হারিয়েছে।

তাছাড়াও যেসব শিক্ষার্থী টিউশনি করে তাদের পড়ালেখা এবং সাথে সাথে পরিবারের খরচও চালিয়েছে তারাও আজ বেকার ঘরে বসে আছে। শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বেশ বড় পরিসরের বরাদ্দ থাকলে অনেকাংশেই এই সমস্যাগুলো হতো না। এসব দিক বিবেচনা করলে অবশ্যই শিক্ষাও গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। তাই, আমি আশা করবো এবারের বাজেট থেকেই শিক্ষাও গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক।

মো. আশিকুর রহমান
অণুপ্রান বিজ্ঞান বিভাগ

করোনাভাইরাসের এ সংকটে শিক্ষাখাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমনিতেই শিক্ষাও গবেষণা খাতে খুব সামান্য বরাদ্দ দেওয়া হয় তারপর আবার এ পরিস্থিতি। তাই, কিছুদিনের মধ্য ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষা ও গবেষণা খাত কিভাবে আরো উন্নয়নমুখী করা যায় সেটা নতুনভাবে ভাবতে হবে। কোনো দেশের নাগরিকদের দক্ষ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রস্তুত করতে দক্ষ মানশক্তির প্রয়োজন আর তা কেবল শিক্ষাও গবেষণার মধ্য দিয়েই সম্ভব।

আমাদের দেশে বর্তমানে শিক্ষা খাতে বরাদ্দের দুই-তৃতীয়াংশই ব্যয় হয় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানে, আর এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় হয় শিক্ষার উন্নয়নে। আমরা যদি সত্যি সত্যি শিক্ষার উন্নয়ন চাই, তাহলে বেতন-ভাতার চেয়ে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বেশি রাখতে হবে।

শিক্ষা খাতে যতটুকু ব্যায় করা হয় গবেষণার ক্ষেত্রে তারচেয়ে কম পরিমাণে বাজেট বরাদ্দ থাকে। কোন গবেষণার ক্ষেত্রে যে পরিমাণ বাজেট প্রয়োজন তার চেয়ে কম পরিমানে বাজেট প্রণয়ন করলে গবেষণা অসম্পূর্ণ থাকে। তাই সেই পরিমান বাজেট যাতে দেওয়া হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে শুধু বাজেট প্রণয়ন অথবা বাজেট বৃদ্ধি করলেই চলবে না, দেখতে হবে বাজেটটা কোন ক্ষাতে ব্যায় করা হচ্ছে। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে চিকিৎসা ব্যাবস্থার দিকে, বাড়াতে হবে চিকিৎসা খাতের উন্নয়নের বাজেট।


সর্বশেষ সংবাদ