বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হতে পারে
- ড. মু. আলী আসগর
- প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২০, ১১:২৪ PM , আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০, ০৩:১৮ PM
নভেল করোনাভাইরাস পরিবার চারটি প্রধান জেনাসে বিভক্ত—আলফা করোনাভাইরাস, বিটা করোনাভাইরাস, গামা করোনাভাইরাস, ও ডেল্টা করোনাভাইরাস। বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, SARS-CoV-1, MERS-CoV ও কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস SARS-CoV-2 এবং মানুষের জন্য ক্ষতিকর অন্য দুইটি করোনাভাইরাস HCoV-OC43 ও HCoV-HKU1 বিটা করোনাভাইরাস জেনাসের অন্তর্ভুক্ত। HCoV-OC43 ও HCoV-HKU1 করোনাভাইরাস শ্বসনতন্ত্রের উচ্চাংশে (নাক, কান, গলা) মৃদু থেকে মাঝারি সংক্রমণ করে; এই দুইটি করোনাভাইরাস শীতকালীন সাধারণ সর্দিকাশির দ্বিতীয় প্রধাণ কারণ হিসেবে বিবেচিত।
দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন এ প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, মানুষের জন্য ক্ষতিকর সাতটি করোনাভাইরাসের মধ্যে তিনটি করোনাভাইরাস, SARS-CoV- 1, MERS-CoV ও সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস SARS-COV-2 মানুষের মারাত্মক অসুস্থতার কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে বিশ্বের ৩৭টি দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স-কোভ-১ নামক করোনাভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭৫০ জনের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৮ হাজারের অধিক মানুষ সংক্রমিত হয়েছিল। মার্স-কোভ করোনাভাইরাস তুলনামুলক ধীরে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়েছিল, তবে প্রাণঘাতীর হার ব্যপক ছিল। মার্স-কোভ করোনাভাইরাসে ২ হাজার ৫০০ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। ট্রেন্ডস ইন মাইক্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, সার্স-কোভ-১ ও মার্স-কোভ ভাইরাসের কারণে মারাত্মক অসুস্থতা সহ মৃত্যু হার যথাক্রমে প্রায় ৯% ও ৩৬% ছিল, তবে এ দুইটি ভাইরাসের সংক্রমণ সীমিত পর্যায়ে আছে। বর্তমানে কোভিড-১৯ রোগের ভাইরাস সার্স-কোভ-২ এর সংক্রমণ পূর্বের দুইটি ক্ষতিকর করোনাভাইরাসের চেয়ে অনেক বেশী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (সিএনএইচসি) ও অন্যান্য সূত্রের ১৯ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৩ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে ও মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার জন ছাড়িয়ে গেছে।
২০০২-২০০৩ সালের সালে সংঘটিত মহামারির জন্য দায়ী ভাইরাস সার্স-কোভ এর সাথে ২০১৯-২০২০ সালের বৈশ্বিক মহামারির জন্য দায়ী ভাইরাস সার্স-কোভ-২ এর অনেক সাদৃশ্য থাকলেও, উভয়ের বাহিরের আবরণের ‘স্পাইক’ প্রোটিনের গঠনে পার্থক্য রয়েছে। করোনাভাইরাসের বাহিরের আবরণে স্পাইক প্রোটিনগুলো একত্রিত হয়ে ট্রাইমারস গঠন করে। ৩০ মার্চ, ২০২০ তারিখের বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষনা অনুযায়ী, সার্স-কোভ ও সার্স-কোভ-২ উভয় ভাইরাসই রিসেপটর-বাইন্ডিং ডোমেনের এর মাধ্যমে মানুষের কোষের একই রিসেপটর ‘এইচএসিই ২’ (হিউম্যান এনজিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম ২)-তে সংযুক্ত হয়।
এইচএসিই ২-তে সংযুক্ত হওয়ার জন্য উভয় ভাইরাসের রিসেপটর-বাইন্ডিং ডোমেনে স্পাইক প্রোটিনের দুইটি হটস্পটস, হটস্পট-৩১ ও হটস্পট-৩৫৩ আছে। কিন্তু উভয় ভাইরাসের রিসেপটর-বাইন্ডিং ডোমেনের হটস্পটগুলির স্পাইক প্রোটিন গঠনে কিছুটা ভিন্ন হওয়ায়, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের দুইটি হটস্পটস, সার্স-কোভ এর দুইটি হটস্পটস এর তুলনায় এইচএসিই ২ এর সঙ্গে বন্ধনে অধিক স্থিতিশীল ও নিবিড়। ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের রিসেপটর-বাইন্ডিং ডোমেনের হটস্পটগুলোর স্পাইক প্রোটিনের ভিন্ন গাঠনিক বৈশিস্টের কারণে হোস্ট কোষের এইচএসিই-২ কে তীব্রভাবে আকর্ষণের মাধ্যমে দ্রুত সংক্রমণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ফলে কোভিড-১৯ রোগটি বিশ্বব্যাপী তড়িৎ বিস্তার করছে।
সম্প্রতি ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণের ফ্যাক্টরগুলো বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে রোগের সংক্রমণের প্রোজেক্টিং করা হয়েছে। উক্ত গবেষণায় বিবেচিত মূল ফ্যাক্টরগুলো হলো—ঋতুর ভিন্নতায় সংক্রমণের মাত্রা, দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্থিতিকাল এবং সার্স-কোভ-২ ও অন্যান্ন করোনাভাইরাসের মধ্যে দেহে ক্রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাত্রা।
যখন বহিরাগত আক্রমণকারী যেমন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে প্রবেশ করে, দেহের লিম্ফোসাইটস নামক ইমিউন কোষগুলো এন্টিবডি তৈরির মাধ্যমে সাড়া দেয়। এন্টিবডি হচ্ছে প্রোটিন। এই এন্টিবডিগুলো বহিরাগত আক্রমণকারীর (এন্টিজেন) সাথে লড়াই করে এবং দেহকে অতিরিক্ত সংক্রমণের থেকে রক্ষার চেষ্টা করে। বিটা করোনাভাইরাস, HCoV-OC43 ও HCoV-HKU1 এর সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট নির্দিষ্ট এন্ডিবডির ফলে গঠিত দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক বছরের মধ্যে (চল্লিশ সপ্তাহ টেকসই) নষ্ট হয়ে যায় (তথ্য সূত্রঃ এপিডিমিয়োলজি এন্ড ইনফেকশন জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ); অন্যদিকে, ইমারজিং ইংফেক্সাস ডিজিজেস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, ২০০২-২০০৩ সালে সংগঠিত মহামারির জন্য দায়ী করোনাভাইরাস SARS-CoV-1 এর সংক্রমণের ফলে মানবদেহে গঠিত নির্দিষ্ট এন্ডিবডি উক্ত ভাইরাসের ক্ষেত্রে গড়ে দুই বছর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রেখেছিল এবং তৃতীয় বছরে উক্ত নির্দিষ্ট এন্ডিবডিগুলির (ইমিউনোগ্লোবিন জি বা IgG) উল্লেখ্যযোগ্য হ্রাস ঘটেছিল।
বিটা করোনাভাইরাসগুলোর পরস্পরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে: সার্স-কোভ-১ সংক্রমণ HCoV-OC43 করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবদেহে এন্ডিবডিজ তৈরি করতে পারে (তথ্য সূত্রঃ জার্নাল অফ ইনফেশন এ প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ) এবং HCoV-OC43 সংক্রমণ SARS-CoV-1 করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ক্রস-রিয়াকটিভ এন্টিবডিজ সৃষ্টি করতে পারে (তথ্য সূত্রঃ ক্যানাডিয়ান জার্নাল অফ ইনফেশাস ডিজিজেস এন্ড মেডিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি তে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ)।
কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস সার্স-কোভ-২ এর উপর এখন পর্যন্ত তাপমাত্রার প্রভাব খুঁজে না পাওয়ায়, এ রোগটি বছরের যে কোন সময়ে বিস্তার লাভ করতে পারে। অতি সম্প্রতি ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে কোভিড-১৯ রোগ বার্ষিক (প্রতি বছর), দ্বিবার্ষিক (দুই বছরে একবার) বা বিক্ষিপ্তভাবে সংক্রমণ ঘটানোর সম্ভাবনা আছে। যদি এই ভাইরাসটি মানবদেহে HCoV-OC43 ও HCoV-HKU1 করোনাভাইরাস দুইটির মত স্বল্প সময়ের (৪০ সপ্তাহ) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে তবে প্রতি বছর কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে এবং SARS-CoV-1 করোনাভাইরাসের মত দীর্ঘতর সময় (দুই বছর) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে তবে দ্বিবার্ষিক ভাবে কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, ২০২৫ সাল পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব চূড়ান্তভাবে (crucially) নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্থিতিকালের উপর এবং ক্ষুদ্রতর মাত্রায় নির্ভর করবে HCoVs OC43/HKU1 ও SARS-CoV-2 করোনাভাইরাসগুলোর দ্বারা অর্জিত ক্রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পরিমাণের উপর।
বর্তমানে কোভিড-১৯ রোগের কোন প্রতিষেধক, ভ্যাকসিন বা এন্টিভাইরাল ড্রাগ না থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সামাজিক শিষ্টাচার বা শারীরিক দূরত্ব, স্কুল ও কর্মক্ষেত্র বন্ধ এবং জনসমাবেশের আকার সীমিতকরণ করেছে। কৌশলগুলোর উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে, মহামারির তীব্রতার সীমা হ্রাস করা (‘ফ্ল্যাটেন দ্য কার্ভ’), স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপর অতিরিক্ত চাপের ঝুঁকি কমানো ও নতুন চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন সৃষ্টিতে সময় পাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ায় বেশ কিছু দেশ লকডাউনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ ও হ্রাসে সবচেয়ে বেশী সফল হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও হংকং কারণ হিসেবে সার্স-কোভ-১ ও মার্স-কোভ করোনাভাইরাস মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো, দ্রুত সক্রিয়ভাবে ভাইরাস মোকাবিলায় বিদ্যমান উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী হাজার হাজার মানুষের কোভিড-১৯ রোগের ভাইরাসের পরীক্ষা করা, অনাক্রান্ত মানুষকে আক্রান্ত মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা, পর্যটক নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে (সূত্রঃ ইউএসএ সংবাদমাধ্যম টাইম নিউজপেপার ও যুক্তরাস্ট্র ভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী 'সায়েন্স')। কোভিড-১৯ রোগী সনাক্তে প্রতি মিলিয়ন (দশ লক্ষ) মানুষে দক্ষিণ কোরিয়া ৫ হাজারের বেশি মানুষকে টেস্টস, সিঙ্গাপুর প্রায় ১২ হাজার ৮০০ মানুষকে টেস্টস এবং হংকং প্রায় ১৩ হাজার ৮০০ মানুষকে টেস্টস করেছিল--যা বিশ্বের সর্বোচ্চ কয়েকটি ডায়াগনস্টিক টেস্টের হারের সাথে তুলনীয় (সূত্রঃ যুক্তরাস্ট্র ভিত্তিক দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও যুক্তরাস্ট্র ভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী 'সায়েন্স')।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (সিএনএইচসি) ও অন্যান্য সূত্রের সর্বশেষ ১৯ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৫৬ জন ও মৃতের সংখ্যা ৯১ জন। ১৮ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২১ হাজার ৩০৭ জনের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে বাংলাদেশে, এ তথ্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)। বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখ মানুষে টেস্টের সংখ্যা ১২৯। ভারতে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৬৫ ও মৃতের সংখ্যা ৫২১। ভারতে প্রতি ১০ লাখ মানুষে টেস্টের সংখ্যা ১৭৭। পাকিস্তানে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৯৯৩ ও মৃতের সংখ্যা ১৫৯। পাকিস্তানে প্রতি ১০ লাখ মানুষে টেস্টের সংখ্যা ৩৩২। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে কোভিড-১৯ টেস্টের হার স্পষ্টত কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সফল তিনটি দেশের (দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও হংকং) এর তুলনায় অতি নগন্য যা দক্ষিন এশিয়ার এই তিনটি দেশের স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার পরিচয় বহন করে।
ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ ও হ্রাসে ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘায়িত বা সবিরাম সামাজিক শিষ্টাচার (শারীরিক দূরত্ব) অপরিহার্য হতে পারে (তথ্য সূত্রঃ ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ)। অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, অর্থাৎ ব্যাপক ডায়াগনস্টিক টেস্ট, সংকটপূর্ণ তত্ত্ববধান সামর্থ্য বৃদ্ধি, কার্যকর থেরাপিউটিক (ভ্যাকসিন/ড্রাগ আবিস্কার) ইত্যাদি সবিরাম সামাজিক শিষ্টাচার (শারীরিক দূরত্ব) কে ফলপ্রসু করবে এবং অর্জিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অগ্রসর করবে। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও হংকং এর সাফল্যের চাবিকাঠি ছিল করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও সম্ভাব্য আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষকে ডায়াগনস্টিক টেস্টের আওতায় এনে অনাক্রান্তদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা। ডায়াগনস্টিক টেস্টের মাধ্যমে সনাক্ত বিহীন অবস্থায় কোভিড-১৯ রোগের ভাইরাস বহনকারীরা কর্মক্ষেত্রে ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করলে এই মহামারি দক্ষিন এশিয়ায় আরোও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
লেখক: প্রফেসর, ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ই-মেইল: drmaasgar@gmail.com