করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা কি দীর্ঘস্থায়ী লড়াই?
- ড. মু. আলী আসগর
- প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২০, ০২:৩৭ PM , আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২০, ০২:৩৭ PM
করোনাভাইরাস পরিবার চারটি প্রধান জেনাসে বিভক্ত—আলফা করোনাভাইরাস, বিটা করোনাভাইরাস, গামা করোনাভাইরাস, ও ডেল্টা করোনাভাইরাস। বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, সার্স-কোভ-১ (SARS-CoV-1), মার্স-কোভ (MERS-CoV) ও কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2) এবং মানুষের জন্য ক্ষতিকর অন্য দুইটি করোনাভাইরাস HCoV-OC43 ও HCoV-HKU1 বিটা করোনাভাইরাস জেনাসের অন্তর্ভুক্ত। HCoV-OC43 ও HCoV-HKU1 করোনাভাইরাস শ্বসনতন্ত্রের উচ্চাংশে (নাক, কান, গলা) মৃদু থেকে মাঝারি সংক্রমণ করে; এই দুইটি করোনাভাইরাস শীতকালীন সাধারণ সর্দিকাশির দ্বিতীয় প্রধাণ কারণ হিসেবে বিবেচিত।
ট্রেন্ডস ইন মাইক্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, সার্স-কোভ-১ ও মার্স-কোভ ভাইরাসের কারণে মারাত্মক অসুস্থতা সহ মৃত্যু হার যথাক্রমে প্রায় ৯% ও ৩৬% ছিল, তবে এ দুইটি ভাইরাসের সংক্রমণ সীমিত পর্যায়ে আছে। চলমান মারাত্মক সংক্রমক সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের কারণে বিশ্বে ইতোমধ্যে ২২ লক্ষ চল্লিশ হাজারের অধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ১ লক্ষ ৫৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে (তথ্য সূত্রঃ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেমস সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং)।
বর্তমানে কোভিড-১৯ রোগের কোন প্রতিষেধক, ভ্যাকসিন বা এন্টিভাইরাল ড্রাগ না থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সামাজিক শিষ্টাচার বা শারীরিক দূরত্ব, স্কুল ও কর্মক্ষেত্র বন্ধ এবং জনসমাবেশের আকার সীমিতকরণ করছে। কৌশলগুলোর উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে, মহামারির তীব্রতার সীমা হ্রাস করা (‘ফ্ল্যাটেন দ্য কার্ভ’), স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপর অতিরিক্ত চাপের ঝুঁকি কমানো ও নতুন চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন সৃষ্টিতে সময় পাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ায় বেশ কিছু দেশ লকডাউনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
চীন ও অন্যান্ন দেশের মত চরম লকডাউন ব্যবস্থা গ্রহণ না করেও আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে রেখে হংকং ও সিঙ্গাপুরের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত কৌশল এখন পর্যন্ত সফল। অদম্য পরীক্ষাকরণ, আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্নকরণ এবং তাদের ছোঁয়াচ চিহ্নিতকরণ ও পৃথকীকণের (কোয়ারেন্টাইন) মাধ্যমে উভয়ে প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ২০২০ সালের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কিছু বিশেষজ্ঞ হংকং ও সিঙ্গাপুরের গৃহীত তুলনামূলক সফট কৌশল ব্যর্থ হবে ভেবে আশঙ্কায় ছিলেন। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হংকং ও সিঙ্গাপুরে কোভিড-১৯ নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১ হাজার ২২ জন এবং ৫ হাজার ৫০ জন (তথ্যসূত্র: চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ও অন্যান্য)। উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থাকা সত্তেও, যুক্তরাষ্ট্র, ইটালি, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি।
২০০৩ সালে করোনাভাইরাসের অন্য প্রজাতি সার্স-কোভের কারণে মহামারির পর হংকং ও সিঙ্গাপুর এ বিষয়ে তড়িৎ মোকাবিলার জন্য সামর্থ্য (response capabilities) গড়ে তোলা সহ প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনা করেছিল। পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে তারা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ও সম্ভাব্য আক্রান্তদের ব্যপকভাবে ডায়াগনস্টিক টেস্টের আওতায় এনেছিল। ফলে, প্রতি মিলিয়ন (দশ লক্ষ) মানুষে সিঙ্গাপুর প্রায় ১২ হাজার ৮০০ টেস্টস এবং হংকং প্রায় ১৩ হাজার ৮০০ টেস্টস করেছিল--যা বিশ্বের সর্বোচ্চ কয়েকটি ডায়াগনস্টিক টেস্টের হারের সাথে তুলনীয় (সূত্রঃ যুক্তরাস্ট্র ভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী 'সায়েন্স')।
যাদের কোভিড-১৯ টেস্ট পজিটিভ এসেছিল, তাঁদেরকে সিঙ্গাপুর ও হংকং এর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল; নির্বিশেষে আক্রান্ত ও সম্ভাব্য আক্রান্ত থেকে সংক্রমণ ঠেকান হয়েছিল। যারা আক্রান্তের সংস্পর্শে ছিল ও সদ্য অন্য দেশ থেকে এসেছিল, তাঁদের সকলকে দুই সপ্তাহের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাটা বাধ্য ছিল (প্রায় সকল নন সিটিজেনস/বিদেশীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল)। হংকং হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকা সকলের কব্জিতে ইলেকট্রনিক ব্যান্ড (electronic wristbands) লাগিয়ে দিয়েছিল, যা স্মার্টফোনের সাথে কাজ করে তাঁদের অবস্থান ট্র্যাক করত। সিঙ্গাপুরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের কাছে দিনে কয়েকবার মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে সাড়া দেওয়ার (respond) বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে অবস্থান (লোকেশন) নির্ধারণ করা হত। হোম কোয়ারেন্টাইমে থাকা ব্যক্তি আইন অমান্য করলে অর্থ দন্ড ও কারাদন্ড ভোগ করত।
হংকং ও সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত ও সম্ভাব্য আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কড়াকড়ির পাশাপাশি অনাক্রান্তদের ক্ষেত্রে শিথিল নিয়ম চালু ছিল। সিঙ্গাপুরে এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে স্কুল চালু ছিল এবং মুভি থিয়েটার খোলা ছিল। হংকং এ স্কুল বন্ধ থাকলেও, রেস্টুরেন্টস খোলা ছিল। হংকং ও সিঙ্গাপুরে মার্চের শেষের দিকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উভয়েই 'সাপ্রেশ ও লিফ্ট' (‘Suppress and Lift’) কৌশলে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দেয়।
হংকং মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে রেস্টুরেন্টে ৫০% খরিদ্দার কমিয়ে দেয় এবং দরজায় প্রত্যেক খরিদ্দারের তাপমাত্রা দেখা সহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কারের বাধ্যবাধকতা চালু করে। এপ্রিলের ৮ তারিখে সিঙ্গাপুরে সকল স্কুল ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয় (সূত্রঃ যুক্তরাস্ট্র ভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী 'সায়েন্স')। অধিকিন্তু, সিঙ্গাপুরে কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং নাগরিকদের প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সিঙ্গাপুরে সকল জনগণের জন্য নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ মাস্ক ব্যবহার ও ভালভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের জন্য আইন কার্যকর হয়েছে এবং আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্যাটাগরির উচ্চ অর্থ দন্ডের বাস্তবায়ন হচ্ছে (সূত্রঃ সিঙ্গাপুরের সংবাদ মাধ্যম এমএসএন)।
হংকং এ নতুন আক্রান্তের হার অনেক কমে গিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ হংকং এর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ গ্যাব্রিয়েল লিউং বলেন, এই ধারা চলতে থাকলে আমরা কিছুটা সহজে শ্বাস নিতে পারব এবং নতুন নিয়মগুলো শিথিল করব। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ গ্যাব্রিয়েল লিউং মনে করেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে হংকং ও সিঙ্গাপুরের 'সাপ্রেশ ও লিফ্ট' (‘Suppress and Lift’) কৌশল চর্চা অনেক দেশে তা "নিউ নরমাল" (অকল্পনীয় স্বাভাবিক) হতে পারে। 'সাপ্রেশ ও লিফ্ট' কৌশলে সরকারের লক্ষ্য পর্যায়ক্রমিকভাবে নতুন সংক্রমণ যে কোন উপায়ে নিম্ন লেভেলে রাখতে ধাবিত করা, তারপর অনুসন্ধানে যতক্ষন পুনরূত্থান না পাওয়া যায় ততক্ষন লাগাম আলগা রাখা।
অতি সম্প্রতি ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণের ফ্যাক্টরগুলো বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে রোগের সংক্রমণের প্রোজেক্টিং (Projecting) করা হয়েছে। উক্ত গবেষণায় বিবেচিত মূল ফ্যাক্টরগুলো হলো—ঋতুর ভিন্নতায় সংক্রমণের মাত্রা (the degree of seasonal variation in transmission), দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্থিতিকাল ( the duration of immunity) এবং সার্স-কোভ-২ ও অন্যান্ন করোনাভাইরাসের মধ্যে দেহে ক্রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাত্রা ( the degree of cross-immunity between SARS-CoV-2 and other coronaviruses)।
যখন বহিরাগত আক্রমণকারী যেমন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে প্রবেশ করে, দেহের লিম্ফোসাইটস নামক ইমিউন কোষগুলো এন্টিবডি তৈরির মাধ্যমে সাড়া দেয়। এন্টিবডি হচ্ছে প্রোটিন। এই এন্টিবডিগুলো বহিরাগত আক্রমণকারীর (এন্টিজেন) সাথে লড়াই করে এবং দেহকে অতিরিক্ত সংক্রমণের থেকে রক্ষার চেষ্টা করে। বিটা করোনাভাইরাস, HCoV-OC43 ও HCoV-HKU1 এর সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট নির্দিষ্ট এন্ডিবডির ফলে গঠিত দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক বছরের মধ্যে (চল্লিশ সপ্তাহ টেকসই) নষ্ট হয়ে যায় (তথ্য সূত্রঃ এপিডিমিয়োলজি এন্ড ইনফেকশন জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ); অন্যদিকে, ইমারজিং ইংফেক্সাস ডিজিজেস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, ২০০২-২০০৩ সালে সংগঠিত মহামারির জন্য দায়ী করোনাভাইরাস SARS-CoV এর সংক্রমণের ফলে মানবদেহে গঠিত নির্দিষ্ট এন্ডিবডি উক্ত ভাইরাসের ক্ষেত্রে গড়ে দুই বছর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রেখেছিল এবং তৃতীয় বছরে উক্ত নির্দিষ্ট এন্ডিবডিগুলির (Immunoglobulin G বা IgG) উল্লেখ্যযোগ্য হ্রাস ঘটেছিল।
বিটা করোনাভাইরাসগুলোর পরস্পরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে: সার্স-কোভ-১ সংক্রমণ HCoV-OC43 করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবদেহে এন্ডিবডিজ তৈরি করতে পারে (তথ্য সূত্রঃ জার্নাল অফ ইনফেশন এ প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ) এবং HCoV-OC43 সংক্রমণ SARS-CoV-1 করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ক্রস-রিয়াকটিভ এন্টিবডিজ সৃষ্টি করতে পারে (তথ্য সূত্রঃ ক্যানাডিয়ান জার্নাল অফ ইনফেশাস ডিজিজেস এন্ড মেডিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি তে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ)।
কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস সার্স-কোভ-২ এর উপর এখন পর্যন্ত তাপমাত্রার প্রভাব খুঁজে না পাওয়ায়, এ রোগটি বছরের যে কোন সময়ে বিস্তার লাভ করতে পারে। অতি সম্প্রতি ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে কোভিড-১৯ রোগ বার্ষিক (প্রতি বছর), দ্বিবার্ষিক (দুই বছরে একবার) বা বিক্ষিপ্তভাবে সংক্রমণ ঘটানোর সম্ভাবনা আছে। যদি এই ভাইরাসটি মানবদেহে HCoV-OC43 ও HCoV-HKU1 করোনাভাইরাস দুইটির মত স্বল্প সময়ের (৪০ সপ্তাহ) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে তবে প্রতি বছর কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে এবং SARS-CoV-1 করোনাভাইরাসের মত দীর্ঘতর সময় (দুই বছর) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে তবে দ্বিবার্ষিক ভাবে কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, ২০২৫ সাল পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব চূড়ান্তভাবে (crucially) নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্থিতিকালের উপর এবং ক্ষুদ্রতর মাত্রায় নির্ভর করবে HCoVs OC43/HKU1 ও SARS-CoV-2 করোনাভাইরাসগুলোর দ্বারা অর্জিত ক্রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পরিমাণের উপর।
ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ ও হ্রাসে ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘায়িত বা সবিরাম সামাজিক শিষ্টাচার (শারীরিক দূরত্ব) অপরিহার্য হতে পারে (তথ্য সূত্রঃ ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ)। অতিরিক্ত মধ্যবর্ত্তিতা, যেমন, ব্যপক ডায়াগনস্টিক টেস্ট, সম্প্রসারিত সংকটপূর্ণ তত্ত্ববধান সামর্থ্য, কার্যকর থেরাপিউটিক (ভ্যাকসিন/ড্রাগ আবিস্কার) ইত্যাদি সবিরাম সামাজিক শিষ্টাচার (শারীরিক দূরত্ব) কে ফলপ্রসু করবে এবং অর্জিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অগ্রসর করবে। সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোগ সংক্রমণ ও নিয়ন্ত্রন বিশেষজ্ঞ ভার্নন লি কোভিড-১৯ রোগ সম্পর্কে সম্প্রতি বলেছেন, এটি পরবর্তী মাস পর্যন্ত স্প্রিন্ট দৌড় নয়, এটি ম্যারাথন।
লেখক: প্রফেসর, ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মেইল: drmaasgar@gmail.com