২০২২ সালে নিয়োগ পাওয়া ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকরা এমপিওবঞ্চিত

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ  © ফাইল ছবি

এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত শতাধিক শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। নিয়োগের তিন মাস পরও বেতন ছাড়াই পাঠদান দিয়ে যাচ্ছেন এসব শিক্ষক। বেতন না পাওয়ার ফলে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক আদেশে ১৫৩জন ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক এমপিওভুক্ত হন। এছাড়া ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ৭৭০ জন এবং এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ৭১ জন ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক এমপিওভুক্তির আদেশ পান । কিন্তু ২০২২ সালে এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় শতাধিক ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। যাদেরকে এই আদেশের বাইরে রেখেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

গত ৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-৩ শাখার উপসচিব সোনা মনি চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ডিগ্রির তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ৭১ জনকে এমপিওভুক্ত করা হয়। তবে ২০২২ এনটিআরসিএ কর্তৃক তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত আরও প্রায় শতাধিক ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক এই আদেশের বাইরেই রয়ে যান। একই পরিপত্রে সরকারি বিধি মোতাবেক একই প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও তারা প্রায় তিন মাস ধরে এমপিও বঞ্চিত রয়েছেন।

বিষয়টি সমাধানে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা একাধিকবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবে কোনো পক্ষই এমপিওবঞ্চিত ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

আরও পড়ুন: ক্লাসে শাসন করায় শিক্ষককে পেটাল ছাত্র

এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ডিগ্রি ৩য় শিক্ষক ফোরামের মুখপাত্র ও বনপাড়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আলমগীর হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা কয়েকবার ডিজি (মাউশি) স্যারের সাথে দেখা করলে স্যার আমাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। স্যার বলেছিলেন যে, ডিগ্রি ৩য় শিক্ষকের এমপিও হলে সবাই পাবে। তবে ২০২২ সালে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে এমপিও আদেশ জারি করা হয়েছে। যার কারণে আমরা আজ হতাশ ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ । একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়েও কেউ পাবে, কেউ পাবেনা এ যেন দ্বৈতনীতির এক অমানবিক বৈষম্য ।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের এমন দ্বৈতনীতির কারণে ২০২২ সালে এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত হতে না পারা ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা একই পরিপত্রে বৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছি, তাই ২০২২ সাল সহ এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত সকল ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এক যোগে এমপিও পাওয়া উচিত। ২০২২ সালে এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ডিগ্রি ৩য় শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত বিষয়টি বিবেচনা পূর্বক ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভক্তির ব্যবস্থা করুক।


সর্বশেষ সংবাদ