বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: চেয়ারম্যান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২১, ০৬:২৬ PM , আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২১, ০৯:১৮ PM
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) ৬৮৮টি পদের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান।
সোমবার (১৬ আগস্ট) নিজ দপ্তরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, সেসিপ প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আগস্টের শেষ সপ্তাহে ১৬তম নিবন্ধনের স্থগিত ভাইভা শুরু হলেও অনেক প্রার্থীর ভাইভা বাকি আছে। এই ভাইভা শেষ হওয়ার পর ১৬তমদের সামগ্রিক ফল প্রকাশ করা হবে। সামগ্রিক ফল প্রকাশ না হলে ট্রেড ইন্সট্রাক্টরদের এই গণবিজ্ঞপ্তিতে যুক্ত করবো কীভাবে?
তিনি আরও বলেন, সেসিপের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় ৪০ দিন বাড়ানোর যে দাবি জানানো হয়েছে সেটি পূরণ করলেও ট্রেড ইন্সট্রাক্টরের প্রার্থীরা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না। কেননা ১৬তম নিবন্ধনের অনেকেই করোনার কারণে ভাইভা দিতে পারেনি। তাদের ভাইভা শেষ হতে সময় লাগবে। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় ৪০ দিন বাড়ানোর দাবিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেন ট্রেড ইন্সট্রাক্টরে চাকরিপ্রত্যাশীরা। ‘১৬তম ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ফলাফল প্রত্যাশী কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক মো. মোকতাদি তালুকদার ও প্রচার সম্পাদক অমিত বসু এনটিআরসিএ কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে তারা জানান, গত ৫ আগস্ট সেসিপের বিভিন্ন ট্রেড ইন্সট্রাক্টরের ৬৮৮টি পদের বিপরীতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ১-১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন। তবে প্রায় ৮ মাস আগে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করার পরও করোনার কারণে সামগ্রিক ফল প্রকাশ না হওয়ায় এই গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের ট্রেড ইন্সট্রাক্টররা আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে সরকার যে উদ্দেশ্যে সেসিপের মাধ্যমে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেটি ফলপ্রসু হবে না।
তারা জানান, ২০১৯ সালের ২৩ মে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। একই বছরের ৩০ আগস্ট আমাদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার একমাস পর ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করা হয়। ওই বছরেরই ১৫ ও ১৬ নভেম্বর ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার প্রায় এক বছর পর ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এরপর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মৌখিক পরীক্ষা শুরুর পর দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর কোর্সের ২৪০ জন প্রার্থীর পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় অনেকের বয়স ৩৫ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ের মধ্যে অন্তত তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। এর একটিতেও আবেদেনের সুযোগ পাননি ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রার্থীরা। এমতাবস্থায় বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
স্মারকলিপিতে তারা আরও জানান, লকডাউনসহ নানা কারণে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শেষ করা যায়নি। এছাড়া ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের আর মাত্র সাতদিনের মৌখিক পরীক্ষা বাকি আছে। ফলে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে সেসিপের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের ট্রেড ইন্সট্রাক্টরা যেন আবেদন করতে পারে সেজন্য আবেদনের সময়সীমা ৪০ দিন বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।