সংগ্রহ হতে যাওয়া শূন্য পদের ব্যবহারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়–এনটিআরসিএর ভিন্ন মত

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি ব্যবস্থা চালু করতে গতিশীল হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের দাবি থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এই বদলি পদ্ধতি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি এ প্রক্রিয়া দ্রুত করতে উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও যারা সুপারিশবঞ্চিত ছিলেন, তাঁদের নিয়োগ সুপারিশের ব্যবস্থা করতে কাজ করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এজন্য সারা দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শূন্য পদ চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

সংগ্রহ হতে যাওয়া সেই শূন্য পদের ব্যবহার নিয়ে দুই সংস্থার অবস্থান ভিন্ন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইছে, মাঠ পর্যায় থেকে যে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে, তা প্রথমেই ব্যবহৃত হবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রমে। তাদের মতে, বদলি চালু হলে শিক্ষক সংকট অনেকাংশে কমে যাবে এবং নতুন নিয়োগ বা সুপারিশের চাপও কমবে। এছাড়া নিজ বাড়ি থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে চাকরি করা শিক্ষকরাও স্বস্তিতে থাকতে পারবেন।

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদের চাহিদা নেওয়ার সময় জানাল এনটিআরসিএ

অপরদিকে এনটিআরসিএ চাইছে, শূন্য পদগুলোকে কাজে লাগিয়ে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশবঞ্চিত ১৮তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ সুপারিশ দেওয়া হোক। কেননা তাদের বয়স সংক্রান্ত কোনো জটিলতা নেই। সেজন্য তাদের নিয়োগ দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে চায় সংস্থাটি। শূন্য পদগুলো বদলির জন্য সংরক্ষণ করা হলে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশবঞ্চিতদের নিয়োগ সুপারিশের সুযোগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এনটিআরসিএ।

দুই পক্ষের ভিন্ন মনোভাবের কারণে শূন্য পদের ব্যবহারে জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বদলি কার্যক্রম ও সুপারিশ—উভয়ই সময়সাপেক্ষ এবং শূন্য পদের সংখ্যা নির্ভুলভাবে না জানা পর্যন্ত কোনো একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস। তবে দুই সংস্থার কেউই এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চাননি। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষকদের বদলির জন্য শূন্য পদের চাহিদা নেওয়ার কথা ছিল গত সেপ্টেম্বর মাসে। এমপিও নীতিমালায় বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি চালু করতে বিলম্ব হলে অনেকেই আদালতে যেতে পারেন। এজন্য যে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেগুলো বদলির জন্য সংরক্ষণ করা উচিত।’

এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা নিজেদের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেকেই সুপারিশবঞ্চিত হয়েছেন। তাদের এখন সুপারিশ করা না গেলে পরবর্তী আর সুপারিশ করা যাবে না। কেননা ১৯তম থেকে নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এজন্য আমরা চাচ্ছি সুপারিশবঞ্চিতদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে সুপারিশ করতে। এজন্য আমরা ই-রেজিস্ট্রেশন এবং ই-রিকুইজিশনের কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে মন্ত্রণালয় বলছে পদগুলো বদলির জন্য সংরক্ষণ করতে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence