শাহবাগে মুখোমুখি অবস্থানে পুলিশ ও ১৮তম নিবন্ধনধারীরা

মুখোমুখি অবস্থানে পুলিশ ও ১৮তম নিবন্ধনধারীরা
মুখোমুখি অবস্থানে পুলিশ ও ১৮তম নিবন্ধনধারীরা  © টিডিসি

রাজধানীর শাহবাগে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ও ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ বঞ্চিত সনদধারীদের নিয়োগে ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’র দাবিতে মহাসমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আন্দোলকারীরা ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান করছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা জাতীয় যাদুঘর থেকে শাহবাগ মোড়ের দিকে এগোলে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। 

এর আগে সকাল ১০টা থেকে এ সমাবেশ শুরু হয়। এসময় হাজারো আন্দোলনকারীকে শাহবাগ মোড় সংলগ্ন জাতীয় যাদুঘরের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায়। কাউকে কাউকে কাফনের কাপড় পড়া অবস্থায়ও দেখা যায়। এ কর্মসূচি থেকে দুই দফা দাবি মেনে আজই প্রজ্ঞাপন জারি না করলে রাজপথ না ছাড়া এবং আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।

আরও পড়ুন: ১৮তম নিবন্ধনধারীদের দাবি অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

এর আগে গতকার শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত থেকেই সারাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ও ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ বঞ্চিত সনদধারীরা বাস, ট্রাক, লঞ্চ, ট্রেন ও অন্যান্য যানবাহনে করে আসতে থাকেন।

এ কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীরা দুই দফা দাবি জানান। সেগুলো হলো- ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্যপদ যুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুপারিশ বঞ্চিত ১৬ হাজার ২১৩ জনকে নিয়োগ দিতে হবে; নীতিমালা পরিবর্তনের পূর্বে সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়োগের লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাধা তুলে দিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী শূন্য পদ যুক্ত করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে নিয়োগ দিতে হবে।

এসময় এক আন্দোলনকারী বলেন, অনতিবিলম্বে সুপারিশ বঞ্চিত ১৬ হাজার ২১৩ জনকে নিয়োগ দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। যদি আজ প্রাতিষ্ঠানিক বাধা অতিক্রম করে তা না করা হয় তাহলে আমরা রাজপথ অবরোধ করতে বাধ্য হব। কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব, যতক্ষণ না প্রজ্ঞাপন জারি না হয়।

আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান নিয়ে নতুন নির্দেশনা

তিনি আরও বলেন, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের খামখেয়ালিপনার অংশ হিসেবে দেখছি ১৯তম সার্কুলার নিয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, অথচ প্রিলি, রিটেন ও ভাইবা পরীক্ষায় পাশ করেছে এমন বঞ্চিতদের নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। আমরা এটা মানব না। আমাদের দুই দফা দাবি না মানলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

আরেকজন জানান, তিনি নিবন্ধন পরীক্ষায় ১০০ তে ৭১ মার্ক পেয়েছেন, তারপরও তাকে কোথাও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এটা তাকে বঞ্চিত করার নামান্তর। তিনি কোনো একটা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ চান।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আরেকজন বলেন, ১৮তম নিবন্ধনে বঞ্চিতদের নিয়োগের আগে আমরা ১৯তম সার্কুলার মেনে নেব না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই। আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই রাজপথ থেকে ফিরব।


সর্বশেষ সংবাদ