৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশের প্রস্তুতি, অর্ধলাখ শিক্ষক পদ শূন্য থাকার আশঙ্কা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১০:২৬ AM , আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:১০ PM
দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। শিগগিরই নিয়োগ সুপারিশ করা হবে বলে জানা গেছে। তবে আবেদনসংখ্যা প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম হওয়ায় প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষক পদ শূন্যই থেকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সুপারিশের বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘টেলিটকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এবার আবেদনের সঙ্গে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করতে হয়েছে। ফলে সুপারিশে খুব বেশি সময় লাগবে না।’
৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ২২ জুন। যা চলে ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা ছিল ১৩ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, এ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৮ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন।
অথচ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে—স্কুল ও কলেজে রয়েছে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদ্রাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০টি পদ ফাঁকা।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, আবেদনকারী অনেকেই যোগ্যতা বা বিষয়ভিত্তিক উপযুক্ততা পূরণ না করায় তারা সুপারিশের তালিকায় স্থান পাবেন না। এছাড়া কিছু বিষয়ে পদের চেয়ে অধিক প্রার্থী আবেদন করায় সব প্রার্থী নিয়োগ সুপারিশ পাবেন না। ফলে বেশিরভাগ পদই পূরণ হবে না।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত শূন্যপদ দেখায়নি, আবার কিছু বিষয়ে পর্যাপ্ত আবেদনকারী পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় অবশিষ্ট শূন্যপদ পূরণে দ্রুত নতুন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, শিগগিরই যাচাই-বাছাই শেষে মেধাক্রম অনুযায়ী সুপারিশ কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে অনেক পদের ক্ষেত্রে আবেদন না থাকায় সেসব শূন্যই থেকে যাবে। ৬ষ্ঠ বিজ্ঞপ্তির সুপারিশ কার্যক্রম শেষ নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ শুরু করা হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।