১৮তম নিবন্ধনে ফেল করা প্রার্থীরা ‘সুখবর’ পেতে যাচ্ছেন
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে ফেল করা প্রার্থীদের ফলাফল পুনরায় যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফল পুনর্মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে পুনরায় ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
সোমবার (৩০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একটি সূত্র দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ১৮তম নিবন্ধনে একদিনের একটি বোর্ডের ভাইভায় কারিগরি ত্রুটি ছিল বলে প্রাথমিকভাবে সামনে এসেছে। বিষয়টি সমাধানে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। আসলেই কারিগরি ত্রুটি ছিল কি না সেটি বের করতে এনটিআরসিএ কাজ করছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ‘১৮তম নিবন্ধনে ফেল করা সব প্রার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়। তবে একদিনের ভাইভায় কিছুটা ত্রুটি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আসলেই যদি ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি সমাধান করা হবে। কেউ বঞ্চিত হবেন না। ওই প্রার্থীদের ফল পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।’
সামগ্রিক ফলাফল পরিবর্তন হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘সামগ্রিক ফল পরিবর্তনের সুযোগ নেই। কেননা যারা ফেল করেছেন তারা যে সবাই যোগ্য বিষয়টি তেমন নয়। অনেকের ন্যূনতম বেসিক ছিল না। সেজন্য তিনি ফেল করেছেন। সবাইকে পাস করানো কিংবা সনদ দেওয়ার সুযোগ নেই। ফলাফলে কোনো অসঙ্গতি হয়েছে কি না সেটি যাচাই করা হচ্ছে। অসঙ্গতি পেলে তা সমাধান করা হবে।’
গত ৪ জুন বিকেলে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত ফলাফল থেকে ২০ হাজারের বেশি প্রার্থী বাদ পড়েন। অর্থাৎ তারা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা।
মো. মিলন নামে এক ১৮তম নিবন্ধনপ্রত্যাশী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের ফলাফলে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। কোনো বোর্ডে ৬০ জনের মধ্যে ৫১ জন ফেল। আবার কোনো বোর্ডে মাত্র তিনজন ফেল। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ পেয়েও চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে, আবার যাদের ৭০ নম্বর পাওয়ার কথা, তারা ফেল করেছেন। আমরা এ ফলাফল মানি না। আমাদের ফল পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।’